যথাসময়ে ডাক্তাররা হাসপাতালে উপস্থিত থাকবেন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, পর্যটনের স্বার্থে আইসিইউ ও সিসিইউ চালুসহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে দ্রুত ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। দেশের প্রতিটি স্তরে সমস্যা আছে। সব সমস্যা রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব। অনেক সমস্যা কাজের গতি কমিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শহর উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক কক্সবাজারে আসেন। এই খাত থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব আয় করে। তাই পর্যটকদের স্বাস্থ্য বিষয়ও আমাদের নজরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলে পর্যটকরা কক্সবাজারে আসবে না। তাই স্থানীয় জনগণ, আশ্রিত রোহিঙ্গা এবং বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ উন্নত করার পাশাপাশি আইসিইউ ও সিসিইউ চালু করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আরও শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজার জেলায় স্বাস্থ্যসেবা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। চাপ বেড়েছে হাসপাতালে। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আধুনিক জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে।

জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ও জনবল দিচ্ছি। কিন্তু সেবা তো আপনাদের দিতে হবে। আপনারা যদি সেবা দিতে অনাগ্রহ দেখান, জনগণের সঙ্গে দুর্ব্যহার করেন তবে জনগণ সেবাবঞ্চিত হবে। এতে ক্ষুণ্ন হবে সরকারের ভাবমূর্তি। সাধারণ মানুষ সরকারের সমালোচনা করবে। তাই সবাই যথাসময়ে হাসপাতালে উপস্থিত থাকবেন।

চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে আপনারা সার্টিফিকেট অর্জন করবেন। যে যেমন কাজ করবেন তেমন সুনাম অর্জন করবেন। যা পরবর্তী আপনার জীবনে কাজে আসবে। আমরা যার যার অবস্থান থেকে যদি দায়িত্ব পালন করি তবে স্বাস্থ্যখাতে সেবার মানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কিডনি ডাইলোসিস আমার দেশের জন্য একটি বিশাল সমস্যা। এটি সমাধানে প্রতিটি জেলায় কিডনি ডাইলোসিসের ১০টি করে ইউনিট করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজার সদর রামু আসনের এমপি সায়মুম সরওয়ার কমল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান (পরিকল্পনা) ডা. মহি উদ্দিন ওসমানি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার, কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল মতিন, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সুভাষ চন্দ্র সাহা ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পিন্টু কান্তি প্রমুখ।