শিশুকে মুরগির কলিজা খাওয়ানো যে কারণে বিপজ্জনক

প্রকাশিত: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২১
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: কলিজা অনেকেরই খুবই পছন্দের খাবার। তাই নানা ভাবেই সবাই কলিজা রান্না করে খেয়ে থাকেন। খাসি, গরুর কলিজা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে মুরগির কলিজা কি সবার জন্যই উপকারী? এই বিষয়ে সবারি সঠিক তথ্যটি জানা জরুরি। বিশেষ করে মায়েদের জন্য।

বেশিরভাগ মাকেই দেখা যায় সন্তানের সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে তাকে কলিজা খাইয়ে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে বিস্যতি আর গের মতো নেই। এখন সন্তানকে কলিজা খাওয়ানো আর বিষের বোতল খাওয়ানো একই সমান হয়ে গিয়েছে।

বাজার থেকে কেনা কক আর ফার্ম, এই দুই ধরণের মুরগিকেই যে ট্যানারির বর্জ্য থেকে তৈরিকৃত খাদ্য খাওয়ানো হয়, তাতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত ক্রোমিয়াম থাকে।

কলিজা হলো দেহের শোধনাগার। তাই কলিজা মুরগিকে বাঁচানোর জন্য বেশিরভাগ ক্রোমিয়াম সংগ্রহ করে নিজের মধ্যে জমিয়ে রাখে।

সাম্প্রতিক কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ডঃ আবুল হোসেনের গবেষণায় দেখা গেছে, মুরগির দেহের মধ্যে কলিজাতে ৬১২ মাইক্রোগাম ক্রোমিয়াম জমে (যেখানে ক্রোমিয়াম খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো ৩৫ মাইক্রোগাম)।

তবে প্রথম ও দ্বীতিয় স্থানে আছে মগজ (৪৫২০ মাইক্রোগ্রাম) ও হাড় (২০০০ মাইক্রোগ্রাম)। আর সবচেয়ে কম আছে মাংসে, তবে সেটাও নিরাপদ মাত্রায় না। তাই কলিজা, মগজ আর হাড়ের স্যুপ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই আরেকবার ভাবা উচিত।

যদি খাওয়াতেই হয়, তবে একদম ঘরে পালা মুরগি অথবা গরু বা খাসির কলিজা খাওয়ানো উচিত। আর স্যুপ খাওয়াতে চাইলে, বাচ্চা মুরগির খাওয়ানো উচিত। কারণ তাতে ক্রোমিয়াম কম জমা থাকে (বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্রোমিয়াম জমার পরিমাণ বাড়ে)।

যদিও ক্রোমিয়ামের ধারণাটা নতুন, তাই এটা নিয়ে কেউ ভাবেনা। তবে ভাবা উচিত।

ধরুন, আপনাকে যদি ১ গ্লাস পানি দিয়ে বলা হয় এতে আর্সেনিক আছে, অথবা ফল দিয়ে বলা হয় এটা এই মাত্র ফরমালিন এ চুবিয়ে আনা হয়েছে, আপনি কি বাচ্চাকে খাওয়াবেন? নিশ্চয়ই না! কারণ ফরমালিন আর আর্সেনিক সম্পর্কে আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি এবং জানি।

তাই ঘরে ঘরে রোগাক্রান্ত মানুষ দেখার আগেই আমাদের ক্রোমিয়াম সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।

সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…