শ্রীমঙ্গলে অনুমতি ছাড়াই স্কুলের গাছ বিক্রি

প্রকাশিত: ৫:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
ছবি ধলাইর ডাক

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের জানাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই প্রধান শিক্ষক ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি স্কুলের বিক্রি করে দিয়েছেন।

বিক্রির পর এই গাছের ক্রেতা হেলাল মিয়া ইতিমধ্যেই দুটি গাছ কেটে ফেলেছেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সীদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে জানাউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের দুটি গাছ কেটে সীমানা প্রাচীরের মাঠে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। গাছের কিছু অংশ স্কুলের লাগুয়া ধান খেতে রয়েছে।

জানাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির সভাপতি আবু মিয়াসহ স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, কারো সাথে কোন কথা বার্তা নেই হঠাৎ করেই গাছগুলো কেটে ফেলা হলো। প্রধান শিক্ষিক আমাদের সাথে কোন আলোচনা না করেই জনৈক হেলাল মিয়া নামের একজনের কাছে গাছগুলো বিক্রি করে দেন। গাছ বিক্রয় করার কারনে হেলাল মিয়া গাছগুলো কেটে স্কুলেই রেখেছেন। এই গাছগুলো স্কুলের সম্পত্তি, আমরা যখন এই স্কুলে পড়তাম তখন গাছগুলো লাগানো হয়েছিলো।

গাছের ক্রেতা হেলাল মিয়া বলেন, গাছগুলো আমি গত দুইমাস আগে ক্রয় করি। কাল আমি গাছগুলো কেটেছি। গাছের বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল আলী ও প্রধান শিক্ষকের জানা আছে। আমি তাদের কাছে  গাছের দাম বাবদ ছয় হাজার টাকা দিয়েছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক কানিজ ফাতেমা বলেন, আমি এই গাছ কাটার সাথে জড়িত নই। এই বিষয়ে আমার কোন জানা নেই। কারা গাছ কিনলো, কে বেচলো আমি কিছুই জানি না। আর গাছগুলোতে পোকা ছিলো। গাছ কাটায় ভালোই হয়েছে।

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল আলী বলেন, আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে আলোচনা করেই গাছ বিক্রয় করেছি। তবে উপজেলা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা আমাদের ঠিক হয় নি। আমরা মুলত স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সীদ্ধান্ত নিয়েই গাছ কেটেছিলাম।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, স্কুলের এই গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি। আমি খবর পাওয়া মাত্রই সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠিয়েছি। গাছ কাটার ব্যাপারে তারা কোন উত্তর দিতে পারেনি। যে কারনে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সীদ্ধান্ত নিয়েছি। কাটা গাছগুলো এখন প্রধান শিক্ষকের জিম্মায় থাকবে।