স্বামীর প্রেমিকার সঙ্গে ছেলের বিয়ে, মায়ের বিষপান

প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২১
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: প্রাক্তন ছাত্রীর সঙ্গে স্বামীর পরকীয়া। এরপর একই তরুণীর সঙ্গে ছেলের প্রেম। স্বামীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে ছেলের সঙ্গে সেই তরুণীর বিয়ে। এসব ঘটনা নিয়ে কলহের জেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন হনুফা বেগম নামের এক নারী।

শনিবার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড় গ্রামে। বিষপানের পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে হনুফাকে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, ঘাস নিধনের বিষ খেয়েছেন হনুফা, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হনুফার স্বামী মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুল চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক। তিনি জানান, তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের প্রাক্তন এক ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষক মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুল ইসলাম। সেই সুবাদে ওই ছাত্রী জহুরুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি দৌলতদিয়াড়ে প্রায় যাতায়াত করত। এক পর্যায়ে জহুরুল ইসলামের ছেলে শুভর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বিষয়টি তার মা হানুফা বেগম জানতে পারায় ছেলের সঙ্গে গোপনে ওই মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দেন। এতেই স্বামী জহুরুল ইসলামের সঙ্গে তার মনোমালিন্য শুরু হয়। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এক পর্যায়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হানুফা বেগম বিষপানে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেন।

স্থানীয়রা জানায়, জহুরুলের গ্রামের বাড়ি হায়দারপুরে কাজ করতেন হানুফা। কাযের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়েও করেন তারা। কিন্তু জহুরুলের পরিবার সেই বিয়ে মেনে নেয়নি। এ কারণে হানুফা তার বাবার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলতদিয়াড়ে থাকতেন। দৌলতদিয়াড়ে জহুরুল মাঝে মধ্যে যাতায়াত করতেন। বেশিরভাগ সময় তিনি নিজ গ্রাম হায়দারপুরেই থাকতেন। বিয়ের পর থেকে জহুরুল বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে তালাকের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক কাজ করতেন।

এর আগে, ২০০৭ সালে নিজ গ্রাম ও একই বিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই শিক্ষক। সেই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেন তিনি।

এ বিষয়ে শিক্ষক জহুরুলের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানা আহমেদ বলেন, হানুফার পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

সদর থানার এ এসআই শাহিন বলেন, ঘটনাটি থানায় জানানো হয়েছে।