৮৪ নারীকে ধর্ষণের পর হাতুড়ি-কুড়াল দিয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করেন তিনি

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০২০

ধলাই ডেস্ক: পৃথিবীতে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যা বেশ মর্মস্পর্শী হয়। আবার এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা খুবই নৃশংস হয়। তবে সবথেকে ভয়ংকর হয় ধর্ষণের হৃদয় কাঁপানো ঘটনাগুলো। মানুষরূপী পশুগুলো কেবল ধর্ষণেই তৃপ্ত থাকে না। নৃশংসভাবে হত্যাও করে তাদের। আমাদের আজকের প্রতিবেদন এমনই এক সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে সাজানো।

নৃশংস এই সিরিয়াল কিলারের নাম মিখাইল পোপকভ। একজন বা দুইজন নয়, ৮৪ জন নারীকে হত্যা করেছেন তিনি। কাউকে হাতুড়ির আঘাতে। কাউকে ছুরি দিয়ে। কাউকে আবার কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে। আবার কাউকে প্রাণে মেরেছেন শ্বাসরোধ করে।

রাশিয়ার সাবেক পুলিশকর্মী মিখাইল ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের ধর্ষণ করে হত্যা করতেন। সম্প্রতি তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে রয়েছে তার হাড়হিম করে দেয়া স্বীকারোক্তি। কেন, কবে, কীভাবে সেই নারীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন তার বর্ণনা সে নিজেই দিয়েছেন।

১৯৯২ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ৮৪ জন নারীকে হত্যা করেছে মিখাইল। আপাতত রাশিয়ান পুলিশের হিসাব তাই বলছে। যদিও এই নৃশংস সিরিয়াল কিলার নিজে ৮১ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

মিখাইলের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামা পুলিশ কর্মকর্তা এবচের্জেবস্কি সন্দেহ করছেন, এখনো পর্যন্ত মিখাইল অন্তত ২০০ জনকে হত্যা করেছে। মিখাইলকে জেরা করার পর পুলিশ আরো অনেক তথ্য পেয়েছে। তবে জেরার মুখেও মিখাইল মোট কতজনকে সে হত্যা করেছে তা জানাতে অস্বীকার করেছে।

২০১৫ সালে মিখাইলের উপর ২২ জন নারীকে হত্যার অভিযোগ ছিল। পরে সে আরো ৫৯ জন নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এর মধ্যে একজন নারী পুলিশকর্মীও ছিলেন। তবে পুলিশ তিনটি হত্যাকাণ্ডে মিখাইলের সম্পৃক্ততার এখনো কোনো প্রমাণ পায়নি। মিখাইলই কি তবে বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস সিরিয়াল কিলার? এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলছেন, হ্যাঁ।

সূত্র: ডেইলী বাংলাদেশ…