ধলাই ডেস্ক: শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। স্বাদ ও গুণে অতুলনীয় এই সবজি রান্না করে, সালাদের সঙ্গে, ভেজে এবং নানা ধরনের স্যুপের সঙ্গে খাওয়া যায়। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এ সময় নিয়মিত ফুলকপি খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
> ফুলকপিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন উপাদান ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
> হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। তাছাড়া ধমনীর ভিতরে প্রদাহ রোধ করতেও সাহায্য করে ফুলকপি।
> শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন। নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। ফুলকপিতে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। এছাড়াও এতে শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়।
> ফুলকপির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীর পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে গ্লুকোসাইনোলেটস থাকে যা এনজাইমকে সক্রিয় করে এবং ডিটক্স হতে সাহায্য করে।
> ফুলকপিতে ইন্ডোল ৩ কার্বিনোল থাকে। যা একটি অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এটি শক্তিশালী ইনফ্লামেটরি রিঅ্যাকশন প্রতিরোধ করে।
> ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন-বি মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও দ্রুত শিখতে সাহায্য করে।
> ফুলকপিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান থাকায় এটি খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপিতে থাকা ফাইবার খাবার হজম করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।