ধলাই ডেস্ক: মশা মানে না কোনো মৌসুম। শীত, বর্ষা কিংবা গ্রীষ্ম—সব ঋতুতে মশার আনাগোনা থাকে আমাদের কাছের কাছে! মশা ঠেকাতে ধূপ, ধোঁয়া, অল আউট থেকে শুরু করে মশারি সব আছে; তবু রেহাই মেলে না।
রোগ-হতাশা-ক্লান্তি-ভোগান্তি, ছোট্ট একটা পতঙ্গের জন্য কত কী না সহ্য করতে হয়। শুধু মানুষ নয়, গৃহপালিত পশুরাও যে মশার জ্বালা সহ্য করে, তা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই। তবে মুরগি কিন্তু এই বিষয়ে বেশ শান্তিতে আছে।
মশার উপদ্রব এক্কেবারে কমিয়ে দিতে পারে মুরগি। এটি বানোয়াট কথা নয়, বিশেষত রোগবাহী মশাকে কাবু করে মুরগি। জ্যান্ত মুরগির গন্ধে মশা টিকতে পারে না। মুরগির শরীর থেকে যে গন্ধ বের হয়, তা বিশেষ করে ম্যালেরিয়াবাহী স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশাকে ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয় না।
সুইডিশ ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারাল সায়েন্সেসের পরিবেশবিদ অধ্যাপক রিকার্ড ইগনেল বলেন, মুরগির গন্ধ মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্ট ডিজনি থিম পার্কে মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে মুরগি পালন করা হয়।