শিক্ষা ডেস্ক: চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
শুক্রবার সকালে অনলাইন এবং স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একযোগে প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯০ শতাংশ। রাজশাহী বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ, যশোরে ৯৫ দশমিক ০৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, সিলেট ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮১ দশমিক ১৪ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৬ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এর আগে, সকাল ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর অনলাইনে ফলাফল প্রকাশের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
ফলাফলে দেখা গেছে, এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ শিক্ষার্থী। শতভাগ পাশ করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার ২ হাজার ৯৭৫। একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০টি।
এছাড়া কারিগরি বোর্ডে এবার পাসের হার ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীরা পাস করেছে ৮৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত বছরের মতো এবারও জিপিএ-৫ এ ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
শিক্ষার্থীরা (www.dhakaeducationboard.gov.bd) এবং (www.educationboardresults.gov.bd) ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এসএমএসের ক্ষেত্রে মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এর পর স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। (উদাহরণ-SSC DHA ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
গত ৩০ এপ্রিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখের বেশি।