ধলাই ডেস্ক: ইলেকট্রিক জিনিস মানেই টেনশনের বিষয়। কারণ এর স্থায়িত্বের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তেমন স্মার্টফোনও। তবে স্মার্টফোন কেনার আগে এর কিছু বিষয় খেয়াল করে কিনলে হয়ত প্রত্যাশিতভাবে
ফোনটি ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য অনেকেই ফোন কেনার আগে অনেক ব্যাপারেই খোঁজ খবর নিয়ে কিনে থাকে। ফোন কেনার আগে এর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পরোক্ষ করে নিলে ঠকার সম্ভাবনাও কম থাকে এবং ভাল ফোনও কেনা যেতে পারে।
দাম : এমনিতেই মোবাইল ফোনসেটের দাম যত বেশি হবে, তার সবকিছুই তত ভালো হবে। তবে মোবাইল ফোনসেট কেনার আগে একই মডেলের অন্য কোনো সংস্করণ খুব শিগগিরই বাজারে আসলে তা থেকে কোনো সুবিধে পান কিনা কেনার আগে তা অবশ্যই ভেবে নিন।
ডিসপ্লের মান: স্মার্টফোন কেনার সময় পর্দার গুণগত মান দেখে নেওয়াটা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় । সবচেয়ে ভালো মানের ডিসপ্লে ১০৮০পি (১৯২০ x ১০৮০ পিক্সেলস) ফোনের দাম বেশ চড়া। এক্ষেত্রে কেনার আগে খেয়াল করে দেখতে হবে ভিন্ন ভিন্ন কোণ থেকে দেখলে ছবি পরিষ্কার দেখা যায় কিনা। তবে সাধারণ মানের মোবাইলের ডিসপ্লে ৭২০পি-এর কম হয়ে থাকে।
অপারেটিং সিস্টেম: এখনকার সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস ৭, উইন্ডোজ অন্যতম। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন কেনার আগে পছন্দেরটি বেছে নিন। কারণ অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করেই গোটা ফোনের সব কার্যক্রম নির্ধারিত হয়।
ডিজাইন: যে কোনো স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর ডিজাইন। তাই আগে থেকেই মনস্থির করুন কোন ডিজাইনের স্মার্টফোন ভালো লাগে। বাজারের সব স্মার্ট ফোনের নজরকাড়া ডিজাইন রয়েছে। কাজেই নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী ডিজাইন পছন্দ করাই ভালো।
ওজন : স্মার্টফোন কিনতে যাওয়ার আগে কেমন ওজনের মোবাইল ফোনসেট কিনবেন তা একবার ভেবে নিবেন। কারণ মোবাইল ফোনসেট যত বড় হয় সাধারণত এর ওজনও তত বেশি হয়। তবে ফোনসেটে ব্যাটারি লাগানোর কারণেও মোবাইলের ওজন বেশি হয়।
পর্দার আকার: বড় স্ক্রিনের মোবাইল বেশি জনপ্রিয় হলেও সহজে বহন করতে চাইলে ছোট পর্দার মোবাইল নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে চার ইঞ্চি বা সাড়ে চার ইঞ্চি বা পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মোবাইল ফোনেরও বেশ চাহিদা রয়েছে।
ব্যাটারির শক্তি: মোবাইল ফোনটি কেমন তার ওপর ভিত্তি করে ব্যাটারির শক্তি নির্ধারিত হয়। তবে বড় মাপের স্ক্রিনের জন্য শক্তিশালী ব্যাটারি প্রয়োজন হয়। আর এখন ৩০০০ এমএএইচ সবচেয়ে বেশি শক্তির ব্যাটারি হিসেবে বাজারে চালু রয়েছে।
ব্লু টুথ: ব্লু টুথ ছাড়া অন্য কোনো মোবাইলের সঙ্গে কিছুই লেনদেন করতে পারবেন না। তাই কেনার আগে ব্লু-টুথ আছে কিনা তা একবার যাচাই করে নিন।
র্যামের ক্ষমতা : ফোনের কার্যক্রমে দ্রুততা এনে দেয় র্যাম। কাজেই ফোন কিনতে গেলে ২ জিবি র্যাম নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত। তবে আধুনিক মোবাইলগুলো ৩ জিবি পর্যন্ত র্যাম নিয়ে বাজারে আসছে।
ওয়্যারলেস চার্জিং: তার ছাড়া চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা অবশ্য খুব প্রয়োজনীয় কিছু নয়। তবে যেখানে সেখানে প্লাগ পয়েন্ট না থাকার সমস্যায় ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম বেশ ভালো।
থ্রি-জি নাকি ফোর-জি: দেশে সবেমাত্র থ্রি-জি কানেকশন চালু হয়েছে। ডাটা কানেকশনের গতি নির্ভর করে এর ওপর। আরো দ্রুত কানেকশন দেয় ফোর-জি। এ যুগের স্মার্টফোনের জন্য থ্রি-জি কানেকশন নিতে পারে এমন মোবাইল সাধারণত বেশি ভালো।
সফটওয়্যার আপডেট রাখা: ফোনের সফটওয়্যার প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। যদি নিজের ফোনের সফটওয়্যারগুলো আপডেট রাখেন তাহলে যন্ত্রটি সুন্দরমতো কাজ করবে। একইসঙ্গে ফোনটিও আরো অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।
কন্ট্রাক্ট ফোন নেওয়ার জন্য: ইউরোপ-আমেরিকাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন শর্তের ভিত্তিতে মোবাইল ফোনসেট কেনার ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের দেশেও অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো এমন অফার দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিচ্ছে এবং মোবাইলগুলোর মডেলের সঙ্গে দাম ও সুবিধাগুলোর তুলনা করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী নেবেন।
অ্যাপ্লিকেশন: মোবাইল ফোনসেটটি যেসব অ্যাপস সাপোর্ট করে তাই ব্যবহার করুন। আর যেসব অ্যাপস মোবাইলের জন্য নয় তা অবশ্যই কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন না। তা ছাড়া মোবাইল ফোনসেট অনুযায়ী আলাদাভাবে অ্যাপসের কালেকশন ইন্টারনেটে দেওয়া থাকে। সেখান থেকেই ফোনটির জন্য অ্যাপস বাছাই করে নেওয়া উচিত।
পপুলার রিভিউ ও রেটিং সাইট ব্যবহার করুন: ইন্টারনেট থাকলে নানা সাইটে ঢুঁ মারতেই হয়। তবে ম্যালওয়্যারের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পপুলার রিভিউ ও রেটিং সাইটে ঘোরাফেরা করবেন।