ধলাই ডেস্ক: গোপালগঞ্জে সেকেন্দার শেখ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মিজান ওরফে শাহিনকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১০। দীর্ঘ ২৯ বছর পলাতক ছিলেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১০, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার কেএম শাইখ আকতার। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো. মিজান ওরফে শাহিন গোপালগঞ্জ সদরের কাঠি এলাকার ওয়াদুদ দফাদারের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর শাহিন মালয়েশিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। পরে দেশে এসে ভাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নাম-পরিচয় গোপন করে অবস্থান করছিলেন।
র্যাব-১০, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার কেএম শাইখ আকতার জানান, ১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার তেলিগতি এলাকার বাসিন্দা নজির শেখের ছেলে চা দোকানি সেকেন্দার শেখকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঘটনার দিন কাঠি বাজারের চায়ের বন্ধ করে রাত ১০টার দিকে সেকেন্দার তার বাড়ি ফিরছিলেন। পথে পশ্চিম পাড়ায় রাস্তার পাশে ফাঁকা মাঠে কয়েকজনকে বসে গাঁজা সেবন করতে দেখেন তিনি। এ সময় তাদের গাঁজা সেবন করতে নিষেধ করলে মিজান ওরফে শাহিনসহ তার সহযোগীরা ধারালো ছুরি দিয়ে সেকান্দারের বুকে, পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর মিজান ওরফে শাহিন কৌশলে মালয়েশিয়া চলে যান।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার আরো জানান, র্যাব আসামিকে ধরতে নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়।