ধলাই ডেস্ক: শতবর্ষী অসুস্থ হালিমা খাতুনকে রাস্তায় ফেলে যায় ছেলে। পরে প্রতিবেশীরা ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। রোববার (২৮ মার্চ) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের দামোদারপুর সৌলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক যুগ আগে স্বামী রজ্জব আলীকে হারিয়েছেন বৃদ্ধা হালিমা খাতুন। নিজের গর্ভে কোনো সন্তান না থাকলেও রজ্জব আলীর আগের ঘরের দুই ছেলে-মেয়েকে বড় করেন। নিজের নামে থাকা সম্পত্তি তাদের নামে লিখে দেন বৃদ্ধা হালিমা। কিন্তু শেষ বয়সে ঘরছাড়া করতে ছেলে আতিয়ার রহমান তাকে রাস্তায় ফেলে যায়।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিউল আলম হালিমা খাতুনের ছেলে আতিয়ার রহমানকে শেষবারের মতো সতর্ক করে হালিমা খাতুনকে ছেলের হাতে তুলে দেন।
এদিকে খবর পেয়ে দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শিবলী সাদিক বৃদ্ধা হালিমা খাতুনকে নগদ অর্থ সহায়তা দেন। তাকে একটি সরকারি ঘর করে দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফিউল আলম দুই বস্তা শুকনো খাবার ও তাকে বয়স্কভাতার কার্ড করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃদ্ধা মাকে একটি হুইল চেয়ার দেয়া হয়েছে। হালিমা খাতুন যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন ৩ নম্বর সিংড়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রতি মাসে তাকে ২০ কেজি করে চাল দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।