ধলাই ডেস্ক: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীতে ভেসে এলো দুই বোনের লাশ। তবে ঈদের জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে দুই মেয়েকে হত্যার পর নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে বাবা পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ মায়ের।
রোববার বিকেলে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের পাড়াসাদুয়ার চর এলাকা থেকে ভাসমান লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলো- হরিপুর ইউনিয়নের কানি চরিতাবাড়ি গ্রামের হামিদুল ইসলামের ১১ বছর বয়সী মেয়ে হাসি আক্তার ও ৯ বছরের খুশি আক্তার।
জানা গেছে, প্রায় ১৩ বছর আগে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার খামার বজরা গ্রামের আদুরী বেগমকে বিয়ে করেন হামিদুল ইসলাম। মেয়ে জন্মের পর তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে তিন বছর আগে স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি। এরপর মায়ের সঙ্গেই নানার বাড়িতে থাকতো হাসি-খুশি। পাঁচদিন আগে ঈদের জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে দুই মেয়েকে নিজ বাড়িতে আনেন বাবা। তিনদিন বাবার সঙ্গে থাকার পর তিনজনকেই আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
স্থানীয়রা জানায়, রোববার দুপুরে হরিপুর ইউনিয়নের পাড়াসাদুয়ার চর এলাকায় তিস্তা নদীর ধারে লাশ দুটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম সরকার জিমি বলেন, দুই মেয়েকে হত্যা করে হামিদুল পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেশীরাও এমনটিই সন্দেহ করছেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, দু-তিনদিন আগে দুই শিশুকে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। লাশ দুটি উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।