কমলগঞ্জে শশুড়বাড়ির লোকজনের হামলায় আহত জামাতা !

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত জামাতা রুবেল আহমেদ (৩০) হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে বাঁচাতে নারী পুরুষসহ আরো তিন জন আহত হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (১৭ জুলাই) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পশ্চিম লাইন এলাকায়।

জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ত্রী পারভীন বেগমের সাথে স্বামী রুবেলের ঝগড়া হয়। এসময় রুবেল রেগে গিয়ে স্ত্রীর গালে একটি চড় মারে। আর এতে স্ত্রী পারভীন ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে শিক্ষা দেয়ার কথা বলে চলে যান পাশেই পিতা সেরালি মিয়ার বাড়িতে। এদিন রাতে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শ্বশুর সেরালি মিয়ার নেতৃত্বে আত্মীয়-স্বজনেরা অতর্কিতভাবে সশস্ত্র হামলা চালায় । এতে রুবেলের মাথা,হাত, পা সহ সারা দেহ রক্তাক্ত জখম হয়।

এঘটনায় বোন শিল্পী বেগম (৩৫) অভিযোগ করে বলেন, ভাই রুবেলের আতœচিৎকারে আমি আমার মেয়ে রুনা বেগম (১৬), প্রতিবেশী আমজাদ মিয়া (২২) ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ভাইয়ের শ্বশুড় সেরালি মিয়া, তার বড় ছেলে সিরাজ মিয়া,শ্যালক রিয়াজ আহমেদ, শাকিল আহমেদ,শ্বাশুড়ী ফাতেমা বেগম,স্ত্রী পারভীনসহ তার আতœীয়রা আমাদের উপরও হামলা চালিয়ে আমাদেরকে আহত করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলায় গুরুতর আহত রুবেলকে মূমুর্ষ অবস্থায় ও আমাদের আহতবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

এ ঘটনায় আহতের বোন শিল্পী বেগম ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে। সূত্র জানায়, উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের চা শ্রমিক আলাবক্সের ছেলে রুবেল আহমেদের সাথে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরোধ চলছিলো। এদিকে স্ত্রীকে চড় মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে পাত্রখোলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে শ্বশুর সেরালির নেতৃত্বে শ্বশুর বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তাকে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

এ ব্যপারে সেরালির মিয়ার বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পাত্রখোলা চা বাগান ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান মুন্না জানান, এবিষয়ে কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। আর যেহেতু এটা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আইনগত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।