কমলগঞ্জে শাহ মোস্তফা রহঃ জামিয়া ইসলামিয়া চন্ডিপুর মাদ্রাসার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ধলাই ডেস্ক: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড শাহ মোস্তফা রহঃ জামিয়া ইসলামিয়া চন্ডিপুর মাদ্রাসায়, আজ ১২ রমজান ১৪৪৬ হিজরি।১৩ মার্চ ২০২৫ ইংরেজী রোজ বৃহস্পতিবার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা পরিচালনা করেন অত্র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ সদরুল ইসলাম মাসুম।
মাদ্রাসার সভাপতি শাহীন আহমদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাওঃ নুরুল মুত্তাকীন জুনায়েদ শায়খে মাধবপুরী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাওঃ হিফজুর রহমান ফুয়াদ মুহাদ্দিস বরুনা মাদ্রাসা। ভানুগাছ বণিক সমিতির সহ সভাপতি কাজী মামুনুর রশীদ। ভানুগাছ বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মীর জাহিদ আলী। চুনারুঘাট উপজেলার শিক্ষা অফিসার কাওছার শোকরানা পান্না। খেলাফত মজলিস কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মুফতি শামছুল ইসলাম লিয়াকত। সেক্রেটারি মাওঃ হোসাইন আহমদ খালেদ। পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শোয়েব আহমদ সেক্রেটারি সরওয়ার শোকরানা নান্না। কমলগন্জ মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গাজী সালাউদ্দীন। ভানুগাছ বণিক সমিতির সাংঘঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান। মুন্সিবাজার দারুল হাদিস মাদ্রাসার নায়বে মুহতামিম মাওঃ লুৎফুর রহমান জাকারিয়া। শরইবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মাওঃ আবুল বশর। মালিকিয়া মাদরাসা মুহতামিম মাওঃ আব্দুল হাফিজ। কুরমা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওঃ আতিকুর রহমান আজিজী। উপজেলা জামে মসজিদের খতিব মাওঃ এনাম উদ্দিন। ভানুগাছ তালিমুল কুরআন মাদ্রাসা মুহতামিম মাওঃ জুনায়েদ আহমদ আস্তফা। ভানুগাছ বাজারের ব্যবসায়ি কাবিল আহমদ, মাধবপুর বাগানের অফিসার মোঃখসরুজ্জামান কমলগঞ্জ উপজেলা প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদান মুশাহীদ আলী। সাংবাদিক আব্দুস সালাম, আব্দুল লতিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য পেশ করেন মাওঃ নুরুল মুত্তাকীন জুনায়েদ। ইফতার করানোর ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যাইদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন রোযা পালনকারীকে যে লোক ইফতার করায় সে লোকের জন্যও রোযা পালনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব রয়েছে। কিন্তু এর ফলে রোযা পালনকারীর সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ ১। নিশ্চয় রোজাদার ব্যক্তিদেরকে ইফতার করানো একটি উত্তম কর্ম এবং সৎ কর্ম। আর এই সৎ কর্মে মানুষের জন্য অনেক মঙ্গল নিহিত রয়েছে, তার মধ্যে হলো: মুসলিমদের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় যদিও তাদের স্থান ও দেশগুলি দূর দূরান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। তাই এই হাদীসটি রোজাদার ব্যক্তিদেরকে ইফতার করানোর প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। আর রোজাদার ব্যক্তিদেরকে ইফতার করানোর পূণ্য ও মর্যাদা বর্ণনা করে। ২। নিকটের আত্মীয়-স্বজন রোজাদার ব্যক্তিদেরকে ইফতার করানো বেশি পুণ্যের কাজ। কেননা এর দ্বারা রোজাদার ব্যক্তিদেরকে ইফতার করানো হয় এবং নিজের আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা হয়। তবে যদি দেখা যায় যে, নিকটের আত্মীয়-স্বজন চেয়ে অন্য লোক বেশি অভাবগ্রস্ত, এবং সে রোজা ইফতার করার কিছু পাচ্ছে না, তাহলে এই অবস্থায় নিকটের আত্মীয়- স্বজন ছাড়া অন্য রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানোই হবে বেশি পুণ্যের কাজ। যেহেতু এর দ্বারা তার অভাব দূর করা হবে এবং তার প্রয়োজন পূরণ করা হবে। ৩। মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা উচিত যে, সে নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী রোজাদার ব্যক্তিদেরকে রোজা ইফতার করাবে। বিশেষভাবে ওই সব রোজাদার ব্যক্তিদেরকে রোজা ইফতার করাবে, যারা রোজা ইফতার করার জন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য পাচ্ছেনা। এবং তাদেরকে রোজা ইফতার করার জন্য কেউ কিছু দিচ্ছে না।