ধলাই ডেস্ক: টমেটোর কেজি দুই টাকা করেও বিক্রি করতে পারছেন না মুন্সিগঞ্জের কৃষকরা। ফলে আবাদ ব্যয় তো দূরের কথা উত্তোলন খরচও তুলতে পারছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, অনুকূল আবহাওয়ায় মুন্সিগঞ্জের ছয় উপজেলায় এ বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় মুন্সিগঞ্জে এবার টমেটো আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। জেলায় ৩১৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, যারাই টমেটো উত্তোলন করে বাজারজাত করছেন তাদের ৫০ থেকে ৬০ টাকা মণ ও দেড় থেকে দুই টাকারও কম কেজি ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে মিলছে না উত্তোলন খরচও।
মোল্লাপাড়া এলাকার কৃষক মুকবুল হোসেন বলেন, ‘যে ফলন হয়েছে তাতে অনেক লাভের আশা করেছিলাম। এখন কেউ কিনতে চায় না। কি করবো, কিছু ফালাই দিয়েছি, কিছু গরুর খাবারের জন্য বাড়ি নিতাছি।’
কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কষ্ট করে চাষ করছি, ফালাই দিতে মায়া লাগে। বাপ-চাচারা মিলে নিজেরাই জমি থেকে বাজারে নিয়ে বিক্রি করছি। ৫০ থেকে ৬০ টাকায় মণ বিক্রি হয়। ঘর থেকে টাকা এনে টমেটো চাষ করে জমিতেই টাকা ফালাই গেলাম ঘরে নিতে পারলাম না।’
কৃষি অফিসের তথ্যমতে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৫ হেক্টর, টঙ্গীবাড়ীতে ৩৫ হেক্টর, শ্রীনগরে ৪০ হেক্টর, সিরাজদিখানে ৭৩ হেক্টর, লৌহজংয়ে ২০ হেক্টর ও গজারিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৮২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে টমেটো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন বেশি হলেও চাহিদা কমে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চাষিরা টমেটো ফেলে না দিয়ে বিকল্প উপায় অনুসরণ করতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো চাষি পরামর্শ চাইলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
সূত্র: জাগো নিউজ…