ডেস্ক রিপোর্ট: দিন-দুপুরে এক নারীকে দলবেঁধে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সাভারের ডগরমোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে আটককৃতরা। এর আগে সোমবার বিকেলে সাভার পৌর এলাকার ডগরমোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো- জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ইলিয়াস উদ্দিনের ছেলে আরিফ (২২), একই উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে আমিনুল (৩৫), গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার আব্দুল হাইয়ের ছেলে বাদল (২২), একই উপজেলার আলতাফ হোসেনের ছেলে কবির (২৬) ও জুলহাস মিয়ার ছেলে আলমগীর (২২)।
পুলিশ জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী কয়েকদিন আগে সাভারে আসেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে সাভার নিউ মার্কেটের সামনে শ্রমিক হাটে কাজ খুঁজতে যান ওই নারী।
এ সময় ওই নারীকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করানোর কথা বলে ডগরমোড়া এলাকার হাজি ইস্কান্দার আলীর নির্মাণাধীন ভবনের সাততলায় নিয়ে যায় স্থানীয় পাঁচ ব্যক্তি। সেখানে ওই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তারা। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।
এ অবস্থায় গণধর্ষণের বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করে কাঁদছিলেন ওই নারী। তখন স্থানীয় একটি চক্র ধর্ষণের শিকার নারীকে দুই হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়।
কোনো উপায় না পেয়ে সোমবার দুপুরে সাভার প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের গণধর্ষণের বিষয়টি জানান ওই নারী। তখন থানায় গিয়ে তাকে অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন সাংবাদিকরা।
সেখান থেকে কাঁদতে কাঁদতে থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান ওই নারী। তার বক্তব্য শুনে বিকেলে লিখিত অভিযোগ নেয় পুলিশ। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ডগরমোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ ধর্ষককে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ওই নারীকে দলবেঁধে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে তারা। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা হবে। পাশাপাশি গণধর্ষণের শিকার নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হবে।