কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর উজানে ১৫ দিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ভোর রাতে আবার ধলাই নদীর উজানে ছাড়া বিষে মরা ভেসে ওঠা অবশিষ্ট মাছ ধরে নিলেন মানুষজন। বিষে মরা মাছ রান্না করে খাওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ১৫ ফেব্রæয়ারি প্রথম দফা ছাড়া বিষে ভোর থেকে ধলাই নদীর পানিতে ভেসে উঠে নানা জাতের ছোট মাছ। সকাল থেকে ছেলে মেয়েরা ধলাই নদীতে মরে ভেসে ওঠা মাছ ধরতে দেখা যায়।
কমলগঞ্জের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক, সালাহউদ্দিন শুভসহ এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছরই এ সময়ে একটি চক্র ধলাই নদীর উজানে গভীর রাতে বিষ ছাড়ে। ভোর রাতের মধ্যে বিষ দিয়ে মারা যাওয়া বড় মাছ ভাসতে থাকলে চক্রটি সেসব মাছ ধরে নিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে। আর সকালে ভেসে নানা জাতের ছোট মাছগুলো এলাকার মানুষজন ও ছেলে মেয়েরা ধরে নেয়। প্রশাসন তদন্তক্রমে কঠোর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে না বলেই প্রতি বছরই এ ঘটনা ঘটে।
বিষে মরে ভেসে ওটা মাছ ধরে নিয়ে রান্না করে খেলেও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুকি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম. মাহবুবুল আলম ভ‚ঁইয়া।
কমলগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান সিদ্দিকী গত ১৫ ফেব্রæয়ারি প্রথম দফা বিষে মাছ মারার সময় বলেছিলেন, ঘটনাটি তার জানা নেই। তবে সরেজমিন তদন্ত করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এবার তিনি বলেন, ঘটনাটি জানা নেই। তিনি তদন্ত করে দেখবেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, এটি একটি কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধলাই নদের পানিতে বিষ ছাড়ার বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের তিনি নির্দেশ দিবেন বলে জানান।