
ডেস্ক রিপোর্ট: চলছে আট রমজান। রমজানের পুরো সময়ে নেক কাজে অতিবাহিত করা ঈমানদারের অন্যতম গুণ। নেক কাজে পুরো রমজান অতিবাহিত করতে আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহের বিকল্প নেই।
তাই রোজার মাধ্যমে আল্লাহর বিধান পালনের পাশাপাশি নেক কাজ, দান-সাদকা করা কিংবা অসহায় মানুষকে খাদ্য দানের মাধ্যমে সহায়তা করাও জরুরি। দান-সহযোগিতার এ কাজে মহান আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হন।
সুতরাং নেক কাজে অংশগ্রহণের তাওফিক কামনায় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি এ আহ্বান করা-
اَللًّهُمَّ ارْزُقْنِيْ فِيْهِ رَحْمَةِ الْأَيْتَامِ, وَإطْعَامِ الطَّعَامِ, وَإفْشَاءِ السَّلَامِ, وَصُحْبَةِ الْكِرَامِ, بِطَوْلِكَ يَا مَلْجَأ الْآمِلِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মার যুক্বনি ফিহি রাহমাতিল আয়তামি; ওয়া ইত্বআমিত ত্বাআমি; ওয়া ইফশায়িস সালামি; ওয়া সুহবাতিল কিরামি; বিত্বাওলিকা ইয়া মালঝাআল আমিলিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার রহমতের ওসিলায় এ দিনে আমাকে ইয়াতিমদের প্রতি দয়া করার তাওফিক দাও; ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করার তাওফিক দাও; শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নেককার লোকদের সংস্পর্ষ লাভের তাওফিক দাও; হে আকাঙ্ক্ষাকারীদের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল।
রোজাদারের জন্য একটি কথা মনে রাখা জরুরি-
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
সুতরাং এরপরও যদি মানুষ খারাপ কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে না পারে, মন্দ কাজের প্রভাবমুক্ত হয়ে ভালো কাজের দিকে অগ্রসর হতে না পারে, তবে এর চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে?
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নেক কাজে অংশগ্রহণ ও দান-সাদকায় মুক্ত হস্তে দান করার তাওফিক দান করুন। নেক আমলের মাধ্যমে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও পরকালের সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।