ধলাই ডেস্ক: পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি গ্রামের রোপা আমন ও শীতকালীন সবজি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
শনিবার রাতে ফুলগাজী সদর ইউপির উত্তর দৌলতপুর মোহাম্মদ উল্যাহর বাড়ির পার্শ্ববর্তী মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ৫০-৬০ ফুট ভাঙন সৃষ্টি হয়। একইসঙ্গে উত্তর দৌলতপুরে কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে ভাঙন অংশ দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে ফুলগাজী সদর ইউপির দক্ষিণ দৌলতপুর ও ঘনিয়া মোড়া, শাহাপাড়া, শ্রীপুরসহ অন্তত পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
এছাড়া কৃষকের প্রায় কয়েক হাজার রোপা আমনের খেত পানিতে ডুবে যায়। কৃষকরা পানিতে ডুবে থাকা ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম এলাকার লোকজন নিয়ে ভাঙন স্থানের গর্ত মেরামতের চেষ্টা করছেন।
এর আগে জুলাই মাসে ৭-৮টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়। তখন ২০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।
দৌলতপুর এলাকার রফিক মিয়া জানান, তিনি সাড়ে ৬ একর জমিতে রোপা আমন ও খিরা চাষ করেছেন। ঢলের পানিতে খেত পানির নিচের ডুবে আছে। ঢলের পানি নিয়ে এলাকার সব কৃষক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৫টি ইউপিতে ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমির রোপা আমন ও ৪০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। সদর ইউপির ঘনিয়ামোড়া ব্লকে ৪২০ হেক্টর রোপা আমন হয়েছে। এর মধ্যে ১০৫ হেক্টর রোপা পানিতে ডুবে ডুবে আছে। ১৩ দশমিক ৫ হেক্টরের মধ্যে ৬ হেক্টর জমির সবজি পানির নিচে রয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তার হোসেন রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বাঁধে ভাঙনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত থেকেই পানির অবস্থা ৭০ সেন্টিমিটারে উপরে ডেঞ্জার লেবেলে রয়েছে। আর কোনো বাঁধে যাতে না ভাঙে সেজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করছেন।