ফলোআপ : উন্নয়ন কাজে ন্যাশনাল টির আপত্তি চা প্লান্টেশনের ক্ষতির কারণে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর বোর্ড অনুমতি দিচ্ছে না

প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্ট: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মাধবপুর চা বাগান লেক উন্নয়নে ন্যাশনাল টি কোম্পানী নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে পর্যটকদের চাপে লেক সংলগ্ন চা প্লান্টেশনের ক্ষতির কারণে উন্নয়ন কাজে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অর্থায়নে সাড়ে ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ হওয়ার কথা ছিল। শনিবার মাধবপুর চা বাগান ব্যবস্থাপক মুরাদ চৌধুরী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, চা প্লান্টেশন বেশ স্যানসেটিভ। মাধবপুর লেক দর্শনে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যবেক্ষক এসে পর্যটকদের একাংশ প্রথমেই লেকের বেগুনি পদ্ম ছিড়ে নেন। অনেকেই আবার চা গাছের পাতা ছিড়ে ও ডালপালা ভেঙ্গে ফেলে। এতে করে কাঙ্খিত চা পাতা উত্তোলন করা যাচ্ছে না। চা প্লানেশনের উঁচু টিলা উঠা নামা করেন। অতিরিক্ত মানুষের উপস্থিতিতে চা গাছ সংক্রামকে আক্রান্ত হচ্ছে। বনভোজনের উদ্দেশ্যে আসা পর্যটকরা চা প্লানেটশন এলাকার মধ্যে রান্নাবান্না করেন। চা বাগানের পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। এ লেকের আরও উন্নন কাজ হলে আবার পর্যটকদের উপস্থিতি অনেকগুন বেড়ে যাবে। এসব বিভিন্ন কারণে ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) বোর্ড মাধবপুর লেক উন্নয়ন কাজের অনুমতি দেয়নি। তিনি আরও বলেন স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থাপক কোন অনুমতি দিতে পারেন না। এনটিসির বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলে মাধবপুর লেক উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব। এনটিসির ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল মুঠোফোনে বলেন, এ উন্নয়ন কাজ নিয়ে কোম্পানীর বোর্ডের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এ বিষয়ে আগামীতে বোর্ডে আলোচনা হবে। তারপর কি সিদ্ধান্ত হয় তা বলা যাবে। তবে পর্যটকরা বলেন, এমনিতেই মাধবপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন যানবাহন থেকে প্রচুর পরিমাণে আয় করছে। লেকের অদূরে স্থাপনা করে দোকানপাঠ দিয়ে ও দোকানে মাধবপুর চা বাগানের উৎপাদিত চা বিক্রি করছেন। সেখানে তাদের পরিবেশেন কোন ক্ষতি হচ্ছে না। তারা মনে করেন জেলা প্রশাসন দৃঢ় পদক্ষেপ নিলে এ উন্নয়ন কাজের আপত্তি প্রত্যাহার করে নিবে।