বিনোদন ডেস্ক: স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমার শুটিংয়ের অনুমতি মিললেও অনেক নির্মাতা ও শিল্পী এখন শুটিং করতে নারাজ। যে কারণে বিনোদন জগতের নিম্ন আয়ের মানুষগুলো এখনো বিপাকে রয়েছে। ঈদুল ফিতরের আগে অনেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে অসচ্ছলদের পাশে দাঁড়ালেও বর্তমানে তা খুব একটা চোখে পড়ছে না। তবে অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রেখেছেন নায়ক-প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল।
শনিবার বিএফডিসিতে শিল্পী সমিতির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেন অনন্ত জলিল। দিয়েছেন নগদ অর্থও।
এ বিষয়ে অনন্ত জলিল বলেন, করোনা যেহেতু শেষ হয়নি, তাই মানুষের সমস্যাও শেষ হয়নি। আমি আমার সাধ্যমতো সবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আজ ২০০ অসচ্ছল শিল্পীকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী উপহার দিলাম। পাশাপাশি আমাদের শিল্পী সমিতির ফান্ডে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছি, যেন শিল্পীদের জন্য তা ব্যয় করতে পারে।
এ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, অনন্ত জলিল ভাই শিল্পী সমিতির ফান্ডে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার ঘষণা দেন। সেই পাঁচ লাখ টাকা আজ শিল্পী সমিতিতে এসে নগদ প্রদান করেছেন। এ ছাড়া তাকে আমি অনুরোধ করেছিলাম, সামনে ঈদ, তিনি যেন এই সময়ে অসচ্ছল শিল্পীদের জন্য কিছু খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন। তিনি আমার কথার প্রতি সম্মান রেখে ২০০ অসচ্ছল শিল্পীকে খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছেন।
অনন্ত জলিল ২০১০ সালে ‘খোঁজ : দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে যাত্রা শুরু করেন। গার্মেন্টস ব্যবসার পাশাপাশি চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করেন নিজের প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে। অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে তিনটি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। মিরপুর ১০ নম্বর, বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো।
এ ছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার ওপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন অনন্ত জলিল। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরে অবস্থিত বায়তুস শাহ জামে মসজিদের নির্মাণ কাজেও অবদান রাখেন।