![বাসের ভাড়া নিয়ে বিতর্কে যাত্রীকে পিষে মারল বাসের চালক](http://dhalairdak24.com/wp-content/uploads/2019/06/07-14.jpg)
ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুর সদর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘেরবাজারে বাসের ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে এক যাত্রীকে চাপা দিয়েছে বাসের চালক। এতে বাসের যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় বাসটি আটক করা হলেও চালক ও সহযোগীকে আটক করা যায়নি। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যাত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ (৩৫) ঢাকার আলুবাজারের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার আতাউর রহমান মেম্বারের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। স্থানীয় স্কটেক্স অ্যাপারিয়াল কারখানার গাড়ি চালক ছিলেন তিনি। বাসের চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
পথে বাসের ভাড়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসের ভেতরেই স্বামী সালাহ উদ্দিনকে মারধর করেন বাসের হেলপার। মারধরের ঘটনাটি মুঠোফোনে বাঘের বাজার এলাকার স্বজনদের অবহিত করেন সালাহ উদ্দিন। বাসটি বাঘের বাজারে পৌঁছালে সালাহ উদ্দিন নেমে বাসের গতিরোধের চেষ্টা করেন। এ সময় সালাহ উদ্দিনকে চাপা দিয়ে চালক দ্রুতগতিতে বাসটি নিয়ে ঢাকার দিতে চলতে থাকেন।
পারুল আক্তার বলেন, সালাহ উদ্দিন যখন গাড়ি থেকে নেমে যান তখন আমি নামতে চাইলে হেলপার বাধা দেন। পরে আমাকে নিয়ে বাসটি চলতে শুরু করে। এ সময় কান্নাকাটি শুরু করলে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া ফু-ওয়াং কারখানার সামনে নিয়ে বাসের গতি কমিয়ে আমাকে ফেলে দেন হেলপার।
মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাসটি আটক করা হয়। নিহতের মরদেহ ময়ানতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বাসের চালক ও তার সহকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। নিহতের ভাই জালাল উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিত্রে আলম এশিয়া পরিবহনের চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।