ধলাই ডেস্ক: বিয়ে করে জীবনে সুখী হতে না পেরে পাঁচতলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবন থেকে লাফ দেন তিনি।
মৃত রাকিব হোসেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর মজুপুর এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি পৌরসভার মোটকা মসজিদ এলাকায় বড় ভাই সোহেল হোসেনের সঙ্গে ভাঙারি ব্যবসা করেন।
আত্মহত্যার আধা ঘণ্টা আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বার্তা দেন রাকিব। ভিডিওতে তার এ মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন উল্লেখ করে অনেক ভুল করেছেন জানিয়ে মা-বাবার কাছে ক্ষমা চান।
ভিডিও বার্তায় রাকিব বলেন, মা আমি সজ্ঞানে আত্মহত্যা করছি। আমি তামা চুরি করিনি। জীবনে অনেক ভুল করেছি মা। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমি নিজের ইচ্ছায় চলে যাচ্ছি। অনেক ভুল করেছি মা। একটি মেয়ের জীবনও নষ্ট করেছি। আমি সুমাইয়াকে বিয়ে করে সুখী হতে পারিনি। আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। আমার অ্যাকাউন্টে ৭৫ হাজার টাকা আছে। বাড়ির ড্রয়ারে আমার এটিএম কার্ড আছে। পিন নম্বরও বলেছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতে সবাই ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ একটি শব্দ শুনে দেখতে পান জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনেই রাকিব পড়ে আছেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত থাকা লোকজন জড়ো হতে থাকেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাকিবের বড় ভাই সোহেল হোসেন বলেন, পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে সকালে রাকিবকে বকাঝকা করা হয়। এতে অভিমান করে দোকান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাকিব আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাই।
পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক কিশোর কুমার জানান, আদালত ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।