ডেস্ক রিপোর্ট: যশোরে নতুন করে আরও ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। এতে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে দাঁড়ালো ১৩৪ জন। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। রোগ নির্ণয়, উপকরণ সংকট ও দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরবরাহ নিশ্চিত ও বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠেছে।
যশোরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ইমদাদুল হক রাজু বলেন, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় ১৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন রোগী আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনটি মনিটরিং টিম গঠন, একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে।
এদিকে, সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সঙ্গে অন্যান্য রোগীর চাপও বাড়ছে। ফলে অতিরিক্ত রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বারান্দায় জায়গা হয়েছে অনেক রোগীর। এতে ভোগান্তি বেড়েছে। সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ ফ্রি করা হয়েছে। কিন্তু এনএস১ কিটস সংকটে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিড়ম্বনা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের মতো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকেও বাড়ছে রোগীর ভিড়। কিটসের দাম তিন-চারগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিড়ম্বনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
ইবনে সিনা হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার যশোরের ডেপুটি ম্যানেজার ও অ্যাডমিন ইনচার্জ মফিজুর রহমান তারেক বলেন, রোগীর চাপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কিটস আমদানিকারকরা তিন চারগুণ দাম বৃদ্ধি করেছে।
সরকারের উচিত তাদের নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে উচ্চমূল্যে কিটস কিনে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা কঠিন হবে। অনেক ক্লিনিক ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদেরও বাধ্য হতে হবে।