রাজধানীতে ১৮ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার দুই

প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২০
ছবি সংগৃহীত

ধলাই ডেস্ক: রাজধানীর বিমানবন্দর কাওলা এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় মাদক পরিবহনের সময় ১৮ হাজার ৪৬০টি ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোহাম্মদ হোসেন ওরফে ভট্টু (৪৯) ও মো. জাহেদ (৩২)।

বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-১) এএসপি কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দরের কাওলা ফুটওভার ব্রিজের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার ৪৬০টি ইয়াবা, ২টি মোবাইল ও ৭হাজার ১৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় নদী পথে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ইয়াবার চালানগুলো বিভিন্ন পরিবহনে করে রাজধানীসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিতে মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বণ করে থাকে। এই চক্রের অন্যতম সদস্য কক্সবাজারের জনৈক মাদক ব্যবসায়ী।

অবৈধভাবে ইয়াবার চালান নিয়ে এসে তার সহযোগী মোহাম্মদ হোসেন ও জাহেদ এর মাধ্যমে মাদক ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খুচরা ও পাইকারী মূল্যে বিক্রি করে বলে জানায়।

মোহাম্মদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। এর আগে সে এলাকায় রিকশা চালাত। পরে সবজি বিক্রয়ের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। এ ইয়াবার চালানটি রাজধানীর জনৈক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। এর আগে সে ৮থেকে ১০টি মাদকের চালান রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাসমূহে সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে। চালান প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে দিত।

আপর আসামি জাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একটি পরিবহনে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি করে। সুপারভাইজারের চাকরির পাশাপাশি সে মোহাম্মদ হোসেনের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ে জড়িত হয়। মাদকদ্রব্য পরিবহনে সে হোসেনকে সহযোগিতা করে বলেও জানায়। জাহেদ এর আগে ৫ থেকে ৬টি মাদকের চালান রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাসমূহে সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করে। চালান প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেয় বলে জানায়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।