ডেস্ক রিপোর্ট: পাবনায় যৌতুকের দাবিতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার মিম (২৮)। পাঁচদিন ধরে তাকে রাজশাহীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এখনও তার জ্ঞান ফেরেনি।
মিম পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার কুচিয়ামোড়া গ্রামের আব্দুল মমিন মণ্ডলের মেয়ে এবং একই থানার রাজইমণ্ডল গ্রামের পল্লীচিকিৎসক পিন্টু প্রামাণিকের স্ত্রী। গত ২১ রাতে স্বামী পিন্টুসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনে মিম গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় মিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে স্বামী পিন্টুসহ ছয়জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেন। কিন্তু এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।
আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আসামিরা পলাতক। পুলিশের একাধিক টিম তাদের ধরতে মাঠে রয়েছে। যেকোনো সময় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।