অসহায়দের পাশে মানবিক পুলিশ ছিদ্দিকুর

প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২২

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে করোনা প্রতিরোধে মাঠে কাজ শুরু করে এই মানবিক পুলিশ। লকডাউন ঘোষণা করা হলে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন মধ্য আয়ের শ্রমজীবী মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়ায় পুলিশ।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার পাশাপাশি খাদ্য সহয়তা কার্যক্রম শুরু করেন। করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।নিজে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শুরু করেন। এ কার্যক্রম এখনো অব্যাহত আছে।

পুলিশের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সরকারের নির্দেশনায় মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, হোম কোয়েরেন্টাইন নিশ্চিত করা, আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানোর মত কাজগুলোও করতেন এই মানবিক পুলিশ। ডিউটির পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও জনসমাগম স্থলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মিত কাজ করতেন এই মানবিক পুলিশ। করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করার লক্ষে বিভিন্ন ব্যানার, লিফলেট, ফেস্টুনের মাধ্যমে এবং স্যোশাল মিডিয়ায় করোনা সতর্কতা সম্পর্কে ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা করতেন। এ যাবত তিনি ৫০০০ হাজার অসহায়, গরিব, দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী (চাল ৫ কেজি, আলু ২ কেজি, তেল ১ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, ডাল ১ কেজি) বিতরণের মাধ্যমে মানবিক কার্যক্রম শুরু করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় অসহায়, গরিব, দিনমজুর, তৃতীয় লিঙ্গ, বেদে সম্প্রদায়, রিকশাচালক, ট্রাক ড্রাইভার ও শ্রমিক, চা-শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। অনেক সময় যারা চক্ষু লজ্জার কারণে ত্রাণ চাইতে পারে না এমন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য রাতের আঁধারে ঘরের দরজায় ত্রাণ সামগ্রী রেখে আসতেন এই মানবিক পুলিশ। অনেক সময় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ভূমিহীন মানুষজন না খেয়ে আছে এমন খবর পেলে থানার ওসিরা নিজ নিজ উদ্যোগে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে হেঁটে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতেন। এছাড়াও অসহায় পথশিশু, ছিন্নমূল মানুষজনের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করে আসছেন এ মানবিক পুলিশ। এছাড়া পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে নগরের নিম্ন আয়ের মানুষকে যাতে না খেয়ে রোজা পালন করতে না হয় সেজন্য রমজান মাসের উপহার সামগ্রী বিতরণ করে চলছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান সাদেক বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পুলিশ মানুষের কাছাকাছি থেকে দায়িত্ব পালন করার সুবাধে মানুষের খাদ্য সামগ্রীর কষ্টের বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে। মূলত এই ধারণা থেকেই সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাধ্যমত খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি। তিনি আরও বলেন, ঈদের দিন দরিদ্র কিছু পরিবার যাতে করে আনন্দে কিছুটা হলেও খাবার খায় সেইজন্য আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস।