এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণ শনিবার শুরু, আবেদন করবেন যেভাবে

প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৩
ফাইল ছবি

ধলাই ডেস্ক: চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়া বা কেউ ফল চ্যালেঞ্জ করতে চাইলে সে কার্যক্রম শুরু হবে আগামীকাল শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে। আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।

শুক্রবার সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ৪ আগস্ট পর্যন্ত।

তিনি জানান, প্রকাশিত ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

যেভাবে আবেদন করতে হবে—

শুধু টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল ফোন থেকে পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর রোল নম্বর বিষয় কোড লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফিরতি এসএমএ-এ আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি PIN দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC Yes PIN Contact Number (যেকোনও অপারেটর) লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে।

ফল পুনঃনিরীক্ষণে ক্ষেত্রে একই এসএমএস-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। যেমন ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC Dha Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। ফল পুনঃনিরীক্ষণে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেওয়া হবে।

পুনঃনিরীক্ষণে খাতা মূল্যায়ন নয়, চারটি বিষয় দেখা হয়—

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনঃনিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়।

এগুলো হলো, উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না। এসব পরীক্ষা করেই পুনঃনিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। এ চারটি জায়গায় কোনো ভুল হলে তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।