ধলাই ডেস্ক: কক্সবাজার শহরের কলাতলী লাইট হাউস এলাকায় আবাসিক হোটেলে পর্যটক হয়রানি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, প্রতারণাসহ অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে একটি কটেজ থেকে ২৫ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কিছু হোটেল ও কটেজে দিনে-দুপুরে চলছে পর্যটক হয়রানি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, প্রতারণাসহ অসামাজিক কার্যকলাপ।
এসব অপরাধ দমনে বিশেষ টিম গঠন করে মাঠে নামে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার পৌরসভার লাইট হাউজ পাড়ার কটেজ জোন এলাকা থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ৯ নারী এবং ১৬ পুরুষসহ মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চকরিয়ার উত্তর কাহারিয়া ঘোনা এলাকার নুরুল আলমের পুত্র মো. ইউনুস ,কক্সবাজার শহরের কলাতলীর আব্দুল আজিজের পুত্র ইমাম হোসেন, চকরিয়ার ভরামহুরী এলাকার ফেরদৌস আহমদের পুত্র মো. রুবেল, শহরের কলাতলীর আবুল কালামের পুত্র মো. রাব্বি, লক্ষীপুর লামচর এলাকার মো. হারুনের পুত্র মো. বিপ্লব, কিশোরগঞ্জের সরওয়ার জাহানের পুত্র ইয়াহিয়া, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাবুল বড়ুয়ার পুত্র বিপুল বড়ুয়া, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মৃত অরবিন্দ বড়ুয়া জনপ্রিয় বড়ুয়া, সাতকানিয়ার মৃত অসীম বড়ুয়ার পুত্র সবুজ বড়ুয়া, মহেশখালীর আব্দুল মোনাফের পুত্র রুবেল, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার জাহিদ মোল্লার পুত্র তামিম মোল্লা, নোয়াখালীর বালুচরা এলাকার জাকির হোসেনের পুত্র রিফাত, শহরের নাজিরার টেকের আমান উল্লাহর পুত্র শওকত ওসমান, চট্টগ্রামের আনোয়ারার আবু সৈয়দের পুত্র মো. লোকমান, চকরিয়ার বদরখালীর জামাল উদ্দিনের পুত্র ফোরকান, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এলাকার আব্দুস সামাদের পুত্র মো. নান্নু, গাজীপুরের টংগীর মজিবুর হোসেনের মেয়ে নোহা জাহান, ময়মনসিংহের ফরাজিবাড়ি এলাকার মনির হোসেনের স্ত্রী নূরী, ঈদগাঁ পূর্ব নাপিতখালির বেলালের মেয়ে জোবাইদা আক্তার, উখিয়ার জয়নাল উদ্দিনের মেয়ে তানিয়া আক্তার, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সম্রাট আহমেদের মেয়ে আফরিন আক্তার, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আব্দুল মজিদের মেয়ে ঝিনুক, ঈদগাঁও বাঁশখালীর আলী হোসেনের মেয়ে শারমিন, গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার আজগর আলীর মেয়ে ফাতেমা ও ঢাকার মুগদা থানা এলাকার রমজানের মেয়ে নিলা।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
