স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে করোনা শনাক্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪জন মারা গেছেন। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১৪ জন। এদের মধ্যে ২ শিশু সহ একই পরিবারের ৫ জন রয়েছেন। কমলগঞ্জে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে । ইতিমধ্যে ঘরে ঘরে জ্বর,সর্দি,কাশি,মাথা ব্যাথা সহ নানা উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসা চলছে।
জানা যায়, গত ৯ দিন আগে শমশেরনগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ূম করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর ৯ দিন পর ১৯ জুলাই সকালে তার বড় ভাই আলাউদ্দীন (৪৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, সর্দি কাশি ও জ্বরে ভোগলেও রোববার বৃষ্টিতে ভিজলে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। তাকে দ্রæত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার ভোরে মারা যান। করোনা সংক্রমিত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার সকালে আদমপুরের পূর্ব জালালপুর গ্রামের হারুন-অর রশীদ মারা যান। গত ১৬ জুলাই নমুনা দিয়ে করোনা শনাক্ত হয়ে সোমবার ভোরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ অবস্থায় মারা গেছেন মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখোলা চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমল কুড়াইয়া(৪৫)। করোনা শনাক্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা গেছেন আলীনগর ইউনিয়নের যোগিবিল গ্রামের আমেনা বেগম (৬৫)। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যাপক মঈন উদ্দীনের মা। করোনার উপসর্গ নিয়ে তাকে দেখতে এসে তার বড় বোনের বাড়িতে মারা গেছেন।
আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে আমেনা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনার উপসর্গ নিয়ে তাকে দেখতে এসে তারই বড় বোন মারা গেছেন। সোমবার বিকেলে দুই বোনের নামাজে জানাজা এক সাথে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে,কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে ও প্রাইভেট ফিজিশিয়ানদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সর্বত্রই ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর ও মাথা ব্যথার রোগী রয়েছেন। তা করোনার উপসর্গ দাবি করে চিকিৎসকরা বলেন, এদের নমুনা পরীক্ষা করলে করোনা পজেটিভ হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ৫ জন মারা যাওয়ার কথা শুনেছেন। তবে এদের মধ্যে ২ জন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়ে কারেনা শনাক্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাকি ৩ জন করোনার নমুনা এখানে দেননি। অন্যত্র দিলেও দিতে পারেন। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, কমলগঞ্জের সর্বত্রই করোনা উপসর্গের রোগী রয়েছেন। মানুষজন স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। এতে করে কমলগঞ্জের অবস্থা আরও ভয়াবহ হতে পারে।