কমলগঞ্জের চা বাগানে ভোটের ভাবনায় সরকারি নির্দেশনা লঙ্গন করে জমায়েত করে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

কমলগঞ্জ সংবাদদাতা: আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট প্রাপ্তির ভাবনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা লঙ্গন করে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগানে নারী চা শ্রমিকদের জমায়েত করে ইউপি চেয়ারম্যান ও সম্ভাব্য এক সদস্য প্রার্থী সহ¯্রাধিক সাবান, মাস্ক ও তোয়ালে বিতরণ করেছেন।

বুধবার সকালে শমশেরনগর চা বাগানের একটি প্লান্টেশন এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমদ ও সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থী দিপালী রেলী এসব সামগ্রী বিতরণ করেন।

বুধবার দুপুরে শমশেরনগর চা বাগানের ৩ নম্বর সেকশনের কর্মরত নারীদের জমায়েত করে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য প্রার্থী দিপালী রেলী নিজ অর্থায়নে ৪শ মাস্ক, তোয়ালে ও সাবান বিতরণ করেন। একই সাথে শমশেরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমদও নিজ অর্থায়নে তার সহকর্মীদের নিয়ে জমায়েত করে ৮শ নারী চা শ্রমিকদের লাইফবয় সাবান বিতরণ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান জমায়াতে উপস্থিত নারী চা শ্রমিকদের উদ্দেশ্য্যে স্বাস্থ্য সচেতনতার্মূলক বক্তব্য দেন। এসময় শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির একজন উপ-পরিদর্শক উপস্থিত থেকে বিতরণ অনুষ্ঠানে সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন।

সরকারি নির্দেশনা লঙ্গন করে নারী চা শ্রমিকদের জমায়েত করে সাবান বিতরণের সত্যতা স্বীকার করে গণ-মাধ্যমকর্মীদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুয়েল আহমদ বলেন, আসলে এসময়ে নারী চা শ্রমিকরা প্লান্টেশন এলাকায় কাজে ছিলেন। এ সুযোগে সেখানে গিয়ে তাদের নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বক্তব্য দিয়েই সাবান বিতরণ করেছেন। তবে নারী চা শ্রমিকদের সংখ্যা তিনি জানাননি তিনি আরও বলেন তাদের সাথে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, আসলে নারী চা শ্রমিকদের সচেতন করতেই সাবান, মাস্ক ও তোয়ালে বিতরণ করা হয়েছে। এই বিতরণের কথা শুনে নারী চা শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতায় কিছু কথা বলা যাবে ভেবেই একজন উপ-পরিদর্শক সেখানে গিয়েছিলেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, এভাবে নারী শ্রমিকদের জমায়েত করে মাস্ক, সাবান ও তোয়ালে বিতরণ সরকারি নির্দেশনার লঙ্গন। এভাবে তিনের অধিক সমাগম করে সাবান, মাস্ক ও তোয়ালে বিতরণ করা উচিত নয়। প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করতে পারতেন। বিষয়টি তিনি খতিয় দেখবেন বলেও জানান।