কমলগঞ্জের হাট বাজারে নিত্য পণ্যের মূল্যে আগুন: দূর্ভোগে নিন্মআয়ের মানুষ

প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হাট বাজারে বেড়ে গেছে চাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন,সকল প্রকার সজ্বী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম। নতুন করে মানুষের নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।

কমলগঞ্জের কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়। জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন জাতের চাল কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা করে বেড়ে গেছে। একই সাথে ভোজ্য তেল লিটার প্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৫টাকা করে। কয়েক দিন আগে পেঁয়াজ ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা। দেশী রসুন দাম বেড়ে ৮০ টাকা থেকে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১শ টাকা দরে। একই ভাবে সব ধরণের শাক সবজির ও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। করলা এখন ৮০ /৯০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কচুর মূঁখী ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০টাকা, চাল কুমড়া ৫০টাকা-৮০টাকা , পটল ৬০টাকা, শসা ৬০ টাকায়, বেগুন ৮০ টাকা, আলু ৫০ টাকা,বরবটি ৮০টাকা,মূলা ৬০টাকা,লাই শাক ৬০টাকা,লাল শাক ৬০টাকা, টমেটো ১২০ টাকা,শিম ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

ভানুগাছ বাজারের পাইকারী ও খুচরা চাল বিক্রেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পাইকারী বাজারে চালের দাম বস্তা প্রতি ২ থেকে ৩’শ টাকা বেড়ে গেছে। ফলে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭টা করে। তিনি বলেন, দেশের বড় বড় চালের আড়তে ও মিলে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। তিনি আরও জানান একদিন আগে ২৮ মিনিকেট চাল(সিদ্ধ) প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৬ টাকা করে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। বাসমতি কাটারী (সিদ্ধ) দাম বেড়ে ৫২ টাকা থেকে ৫৫ টাকা, সুপার আতব ৪৬ টাকা থেকে ৪৮ টাকা, রত্না (সিদ্ধ) মোটা চাল ৩৭ টাকা থেকে ৪০ টাকা, ইরি ৩৮ টাকা থেকে ৪২ টাকা, মালা- ২৮ ৪৩ টাকা থেকে ৪৬ টাকা ও মিনিকেট আতব ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোদী দোকানী পানেশ পাল বলেন, ২ দিন আগে ভোজ্য তেল সোয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি করেছেন ১শ টাকা করে। এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১০৫ টাকা করে। দেশী রসুন ২ দিন আগে বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে। এখন সেই রসুন এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১শ টাকা করে।

ক্রেতা পরশ ও জাকারিয়া বলেন, বাজারে চাল, তেল সজ্বীর সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা হওয়ার মতো উপক্রম। কমলগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র বাজারে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাজার মনিটরিং করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বাজার দর প্রেরণ করা হচ্ছে।