কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: “খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথা ভাবুন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বহুখাতভিত্তিক পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির দ্বি-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ জাুনয়ারি) দুপুর ১২টায় কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এ দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূইয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিছ বেগম, রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বদরুল, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক বাদশা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সূচনা প্রকল্পের নিউট্রেশন অফিসার এবিএম মোয়াজ্জেম হোসেন। এ সময় উপজেলা পুষ্টি কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সূচনা প্রকল্পের নিউট্রেশন অফিসার এবিএম মোয়াজ্জেম হোসেন সভার শুরুতেই ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউিনিট কেন্দ্রগুলোতে মাতৃ স্বাস্থ্য সেবা বিশেষ করে গর্ভকালীন মাতৃ সেবা, নিরাপদ ডেলীভারী ও গত নভেম্ব¦র-ডিসেম্বর মাসের করোনা নমুনা পরীক্ষার তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় মা ও কিশোরীদের পুষ্টি গ্রহনের বিষয়টি সচেতনতা সৃষ্টি করে সূচনা প্রকল্প তদারকি করে। সরকারি স্বাস্থ্য সেবার সাথে সমন্বয় করে সূচনা প্রকল্প কাজ করে।
সূচনা প্রকল্পের উপকারভোগী অতি দরিদ্র কমলগঞ্জের মাধবপুর ইউনিয়ন বাদে ৮টি ইউনিয়নে ২৩৪৫ জন কিশোরীর পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহনের জন্য বিকাশের মাধ্যমে ১৫০০ টাকা করে পাঠানো হচ্ছে। আর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় উপকার ভোগী অতি দরিদ্র কিশোরীদেও তালিকা করা হয়েছে। যথাক্রমে ইউনিয়ন অনুযায়ী রহিমপুর ইউনিয়নে ২০০ জন, পতনউষার ইউনিয়নে ২৫০ জন, মুন্সীবাজার ইউনিয়নে ১৩৫ জন, শমশেরনগর ইউনিয়নে ৫৩২ জন, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নে ১৭০ জন, আলীনগর ইউনিয়নে ১৫০জন, আদমপুর ইউনিয়নে ২০০ জন ও ইসলামপুর ইউনিয়নে ৭১২ জন কিশোরীকে বিকাশে ১৫০০ টাকা করে পাঠানো হচ্ছে।