কমলগঞ্জে এখনও জমেনি ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশিত: ২:২৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৯

স্টাফ রিপোর্ট: রমজানের পঞ্চম দিন আজ, শনিবার। রোজার এক সপ্তাহ এখনও পার হয়নি, ফলে ঈদের কেনাকাটা এখনও সেভাবে জমে না উঠলেও শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় দিনটাকে নষ্ট করতে চাননি অনেকেই।

দোকানিরা বলছেন, ছুটির দিন শুক্র-শনিবার থেকেই যেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের বেচাকেনা শুরু হলো। ১৫ রোজার পর থেকে পুরোদমে শুরু হবে ঈদের বিক্রি।

তবে দোকানিরা ইতোমধ্যে ঈদকে সামনে রেখে তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছেন। তারা বলছেন, শবেবরাতের পর থেকে দোকান মালিকরা মালামাল আনতে শুরু করেন, পয়লা রোজার আগেই তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কমলগঞ্জের ষ্টেশন রোড ও ১০নং রোডে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানই ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে। দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙের-ঢঙের পণ্য।

ঈদের ব্যবসা শুরু হয়েছে কি-না জানতে চাইলে মামনি বস্ত্রালয়ের ব্যবসায়ী মো: সোলেমান উদ্দিন বলেন, টুকটাক বিক্রি হচ্ছে তবে ১৫ রমজানের পর থেকেই ইনশাআল্লাহ বিক্রি হবে।

মাধবপুর থেকে ভানুগাছে পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন খালেদ আহমেদ, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। খালেদ ধলাইর ডাক‘কে বলেন, ‘ঈদের আগ মুহূর্তে কেনাকাটা করা ঝামেলার। তাই এখনই কেনাকাটা করতে এসেছি।

১০নং রোডের নাথ স্ত্রালয় গিয়ে দেখা যায়, সকালেই ক্রেতাদের মোটামুটি উপস্থিতি। দোকানিদের দাবি, ছুটির দিন তাই, শুক্রবার-শনিবার ক্রেতার উপস্থিতি একটু বাড়তিই থাকে। সেই সঙ্গে সামনের ঈদ বাড়তি মাত্রা যোগ করলেও বেচাবিক্রি প্রত্যাশিত না।

আফতাব শপিংকমপ্লেক্স এর ব্যবসায়ী মো: আব্দুল গণি চৌধুরীর ধলাইর ডাক কে বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। অন্যবার যাও কম-বেশি বেচাকেনা হয়, এবার সেটাও হচ্ছে না। গরম বেশি থাকার কারণেও সেটা হতে পারে। আশা করছি, পনেরও রমজানের পর থেকেই ঈদের বেচাকেনা শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।

১০নং রোডের স্বপ্ন গিফ্টের মালিক বলেন, ‘ঈদের প্রভাব পড়েছে হালকায়। তবে পুরোদমে ঈদের কেনাকাটা শুরু হবে ১৫ রোজার পর থেকে।

বেচাকেনা প্রসঙ্গে ষ্টেশন রোডের পাল ব্রাদারস এর মালিক ধলাইর ডাক‘কে বলেন, বেচাকেনা এখনও শুরু হয়নি। হালকা বেচাকেনা চলছে। এটাকে ঈদ বাজার বলা যাবে না। ঈদ মার্কেট বলতে যা বুঝায় সেটা শুরু হতে ১৫ রোজা পার হতে হবে। মূলত, ১৫ রোজার পর থেকেই ঈদের মূল বেচাকেনা শুরু হবে।

তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ মালামাল তুলে নিয়ে আমরা বসে আছি। আশা করি, এবার ভালো বেচাকেনা হবে।

ষ্টেশন রোডের জুয়েল গিফ্ট কর্ণারের মালিক জুয়েল আহমদ বলেন, বেচাকেনা শুরু হচ্ছে। এখন থেকে দিন যতই যাবে বেচাকেনা বাড়বে। চাঁদ রাত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা থেকে ভানুগাছ বাজারে দুই মেয়েকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন নাছিমা নামে এক নারী। নাছিমা ধলাইর ডাক‘কে বলেন ‘ঈদের কেনাকাটা করতেই এসেছি। এই সময়টাতে দোকানগুলো হালকা ফাঁকা থাকে। সময় নিয়ে ঘুরেফিরে পছন্দের জিনিসটা কেনা যায়। পছন্দ হলে আজকেই অনেক কিছু কিনে নিয়ে যাব। আর না হলে আগামী সপ্তাহে আবার আসব।