কমলগঞ্জে গরমে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা

প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২৫

ধলাই ডেস্ক: চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ছাড়াও অন্যতম আরেকটি ভিন্নধর্মী ফল তাল। তালের ভেতরের অংশ খুবই সুস্বাদু। গ্রাম্য ভাষায় এটি তালের শাঁস নামে বেশ পরিচিত। গরমে তালের এই শাঁসটি মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তাই জৈষ্ঠ্যের এ মধু মাসে বাজারে নানা ফল উঠলেও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালের শাঁস।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পৌর শহর ভানুগাছ বাজারে কয়েকটি জায়গায় ভ্যান গাড়ি, রাস্তার পাশে, কচি তালের শাঁসের পশরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও অনেক আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছেন এ ফল, অনেকে আবার বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ভানুগাছ বাজারের চৌমুহনা, ১০নং পয়েন্ট ও কলেজ রোডে রাস্তার পাশে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা যায়।

তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারি একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ জল শূন্যতা দূর করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়। রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন।

ভানুগাছ বাজার কলেজ রোড থেকে তালের শাঁস কেনা ব্যবসায়ী শাকিল মিয়া বলেন, প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি নিতে ৪০ টাকায় দুটি তাল কিনলাম। এ গরমে শাঁস খেতে খুব ভালো লাগে। টমটম চালক কবির মিয়া বলেন, ২০ টাকা দিয়া একটি তাল কিনেছি, অনেক সুস্বাদু, খেয়ে অনেক ভালো লাগলো।

লন্ডন প্রবাসী সুমন আহমেদ বলেন, তালের শাঁস একটি সুস্বাদু ফল। আমি অনেক দিন পর এই সুস্বাদু ফল খেলাম। সত্যি মনটা জুড়িয়ে গেলো।

সাংবাদিক আহমেদুজ্জামান আলম বলেন, গরম থেকে এসে ‘তালের শাঁস খেতে ভালোই লাগে। খুবই সুস্বাদু ফল। এবারের গরমে তালের শাঁসের চাহিদা বেড়েছে।

তালের শাঁস ক্রেতা সুলতানা বেগম বলেন- তালের শাঁস আমার খুব প্রিয় একটি ফল। এখানেই একটি খেয়েছি, আরও ৪টি বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।

তালের শাঁস বিক্রেতা শাহজাহান মিয়া বলেন, গরম পড়লে তালের শাঁস ভালো বিক্রি হয়। প্রতিবছর আমি এ মৌসুমে তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি। এ বছর আমি গ্রাম থেকে ১৪টি গাছ কিনেছি, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ থেকে ৩শ শাঁস বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের শাঁস ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করছি, তিনি আরও বলেন, গরমে স্বস্তি দিতে তালের শাঁস সবার পছন্দের ফল। বিক্রি করে আমরাও লাভবান হচ্ছি।