স্টাফ রিপোর্টার: গত রোববার বিকালে সৃষ্ট আকস্মিক কালবৈশাখি ঝড়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎলাইন মেরামতে বিদ্যুৎকর্মীরা সারাদিন লাইন মেরামত কাজ করেন। ভোর রাতের ঝড়ে আবারও নতুন করে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ৩দিন ধরে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে চলছে বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ। গাছ ভেঙ্গে পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে ও খুঁটি ভেঙ্গে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। রোববার বিকালে প্রবল বেগে আসা কালবৈশাখি ঝড়ে কমলগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার শমশেরনগর ও পতনউষার, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর, টিলাগাঁও ও শরীফপুর ইউনিয়নের শতাধিক স্থানে বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ পড়ে তার ছিড়ে ও খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে। শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কের বিমানবন্দর এলাকায় সড়কধারে ও কেছুলুটি গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় এক কিলোমিটারের মধ্যে ১৪ টি খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিড়ে দুমড়ে মুছড়ে গেছে। সোমবার রাত পর্যন্ত এ এলাকায় নতুন করে খুঁটি স্থাপন করে তার টানা যায়নি। ফলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (মঙ্গলবার ৪টা পর্যন্ত) শমশেরনগর বিমান বন্দর এলাকা, কেছুলুটি,দৌলতপুর, পূর্ব ও পশ্চিম ভাদাইর দেউল মোকামবাজার) এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার ভোর রাতের ঝড়ে আবার কুলাউড়া উপজেলাধীন বেশ কিছু এলাকার বিদ্যুৎ লাইন নতুন করে ক্ষতিগস্ত হয়েছে। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের এজিএম (কম) ওবায়দুল হক বলেন, এখনও তারা প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে চলেছেন। রোববার বিকালের কাল বৈশাখী ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করতে গিয়ে আবার সোমবার ভোর রাতের ঝড়ে দ্বিতীয় দফা বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করে কমলগঞ্জে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করলেও মঙ্গলবার ভোর রাতে কুলাউড়া উপজেলায় ঝড়ে নতুন করে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ যেন প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে চলছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মোবারক হোসেন সরকার বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের পরপরই কমপক্ষে একশত স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ২০টি স্থানে খুঁটি ভেঙ্গে, শতাধিক স্থানে তার ছিলে ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে ক্ষতি হয়েছে। বেশীর ভাগ স্থানে গাছগাছালি ভেঙ্গে তার ছিড়ে ও লাইন মাটিতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি আরও বলেন, সবকটি স্থান পরীক্ষা করে পুরো ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে আরও কিছু সময় লাগবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামত করে পুরো কমলগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কত সময় লাগবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।