স্টাফ রিপোর্টার: চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় চা বাগানগুলোতে বৈধ দেশীয় মদের দোকান বন্ধ হওয়ায় জমজমাট হয়ে উঠেছে চোলাই মদ, হাড়িয়া ও গাজা ব্যবস্যা। গত ২৫ মার্চ সরকারী নির্দেশে কমলগঞ্জের সকল চা বাগানে দেশীয় মদের দোকান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এর পর থেকে বাড়তে থাকে চোলাই মদ, হাড়িয়া ও গাঁজা ব্যবসায়ীদের তৎপরতা। পারমিটদারী মাদকসেবী থেকে শুরু করে অন্যান্য সকল মাদকসেবীরা দেশীয় চোলাই মদ, হাড়িয়া নির্ভর হওয়ায় বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখলা, মাধবপুর, শ্রীগোবিন্দপুর, ধলাই, শমশেরনগর, দেওরাছড়া, কানিহাটিসহ সকল চা বাগানে সরকারী নির্দেশে দেশীয় মদের দোকান অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বন্ধ হয়নি বাগানে বহিরাগতসহ পারমিটদারী মাদকসেবীদের পদচারনা। বিভিন্ন অজুহাতে তারা চা বাগানগুলোতে আগের মতোই প্রবেশ করছেন। পারমিটদারী মাদক সেবীরা দেশীয় মদের দোকান বন্ধ পাওয়ায় ঝুঁকছেন হাতের তৈরী চোলাই মদসহ হাড়িয়া এবং গাঁজার প্রতি। দেশীয় মদের দোকান বন্ধ হওয়ায় চা বাগানগুলোতে বেড়েছে চোলাই মদের ব্যবহার। বাগানে বসবাসরত সুযোগ সন্ধানীরা নিয়মিত তৈরী করছেন বিষাক্ত চোলাই মদ ও পঁচা ভাতের হাড়িয়া। বিষাক্ত নিম্মমানের এসব মাদক সেবন করে পারমিটদারীদের কাউকে কাউকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। যে কারনে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন পারমিটদারী মাদকসেবী থেকে শুরু করে মাদক সেবী চা-শ্রমিক ও গ্রামের লোকজন।
নিম্মমানের বিষাক্ত চোলাই মদ, হাড়িয়া ও গাঁজা মাদকসেবীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাপক ভাবে কমিয়ে দেয়। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশীয় মদের দোকান বন্ধের পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে দেশীয় চোলাই মদ, হাড়িয়া ও গাঁজা তৈরী এবং বিক্রি। এজন্য প্রশাসনসহ বাগান কর্তৃপক্ষকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।