কমলগঞ্জে চা শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্টিত

প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: চা শ্রমিকদের দৈনিক নুন্যতম ৩শ’ টাকা মজুরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে কিছুদিনের মধ্যেই বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। তাছাড়া চা শ্রমিকদের ব্যবহৃত ভূমি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বর্তমান সরকার চা শ্রমিকদের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। রোববার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর চা বাগান মান্ডপে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন এমপি।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকার এর সভাপতিত্বে ও চা ছাত্র যুব নেতা স্বজল কৈরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, বাংলাদেশীয় চা সংসদ এর চেয়ারম্যান এম. শাহ আলম, আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থা ঢাকার ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আলেক্সসিউস চিছাম, শ্রীমঙ্গলস্থ শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাহিদুল ইসলাম।

সভার শুরুতে প্রয়াত চা শ্রমিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। পরে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন চা শ্রমিক পঙ্কজ কন্দ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা বিজয় হাজরা। ভ্যালী কমিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন জুড়ি ভ্যালী সভাপতি কমলচন্দ্র বুনার্জি। সম্পাদকীয় রিপোর্ট পাঠ করেন চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী। সভায় চা শ্রমিক নেতারা বলেন, দীর্ঘ বারো মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হচ্ছে না। এটি অত্যন্ত দু:খজনক বিষয়। চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি নুন্যতম ৩শ’ টাকার দাবি জানিয়ে বলা হয়, চা শ্রমিকরা মাত্র ১০২ টাকা মজুরি পায়, তা দিয়ে কোন মতেই চলা সম্ভব নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে চা শ্রমিকদের পিছনে ফেলে সম্ভব নয়। চা শ্রমিক পরিবারের জন্য দৈনিক ৩শ’ টাকা খরচ হয়, আর আমরা পাই সপ্তাহে মাত্র ৭শ’ টাকা। চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নেই, তাই চা শ্রমিকদের পরের জায়গায় মৃত্যু বরন করতে হচ্ছে। বসতভিটা ও ভালো মজুরির ব্যবস্থার দাবি জানান। সম্পাদকীয় রিপোর্টে রামভজন কৈরি বলেন, চা শ্রমিকদের ধানী জমি যে চেষ্টা শুরু হয়েছে সেটি বন্ধ না হলে শ্রমিকরা দু’বেলা ভাত খেতে পারবে না। তাছাড়া এবছর সর্ব্বোচ্চ চা উৎপাদন করে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থান দখল করলেও অবৈধভাবে বাহিরের চা দেশে আশার কারনে দাম নি¤œগামী। অবৈধভাবে চা আসা সম্পূর্ণ বন্ধ করারও দাবি জানানো হয়।