কমলগঞ্জে উচ্ছেদ অভিযানে বাধা: বন বিভাগের হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ৪ নারী আহত।

প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুরের ধলাইরপার গ্রামে জমির মালিকানা নিয়ে বন বিভাগ ও গ্রামের এক ব্যক্তির দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মামলা চলছে আদালতে। কমলগঞ্জের রাজকান্দি বনরেঞ্জের বনকর্মীরা আদালতের রায় প্রাপ্তির দাবি করে মঙ্গলবার জমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদে গেলে দখলদাররা বাধা দেয়। এতে বন বিভাগের হামলায় একটি ঘরের ভাঙ্গচুরসহ ৪ নারী আহতের অভিযোগ করেছেন জমির দখলদার পক্ষ। মঙ্গলবার বিকালে ধলাইরপার গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় রাস্তার উভয় পাশেই গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


জমির দখলদার শিক্ষক আব্দুল খালিক দাবি করেন মৌরুসী সূত্রে এখানে ১ একর ৬০ শতক জমির মালিক তিনি ও তার পরিবার সদস্যরা। এ নিয়ে বন বিভাগের সাথে তাদের কয়েক বছর ধরে আদালতে মামলা চলছে। গত ২ ডিসেম্বর তিনি মামলার রায় পেয়েছেন বলে জানান। মঙ্গলবার বিকালে রাজকান্দি বন রেঞ্জের বনকর্মীরা জমির মামলার রায় পেয়েছেন দাবি করে সে জমি থেকে তাদের (শিক্ষক আব্দুল খালিকদের) উচ্ছেদে যায়। তখন তারা বাধা দিলে ফাঁকা গোলি চালিয়ে অতর্কিত ভাবে বনকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় একটি মাদ্রাসাঘর ভাঙ্গচুরসহ ৪ নারী আহত হয়েছেন। আহতদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন মায়ারুন বেগম (৪৫),হাসনা বেগম (৩৫),নেবারুন বেগম (৩২) ও চম্পা বেগম (২৮)। হামলার ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও শিক্ষক আব্দুল খালিক জানান।


তবে কমলগঞ্জের রাজকান্দি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মোতারেব হোসেন অভিযোগ প্রত্যাখান করে বলেন, এ জমির প্রকৃত মালিক বন বিভাগ। আদালতের রায়ও তাদের পক্ষে। তাই তারা মঙ্গলবার সে জমি উদ্ধারে গিয়েছিলেন। তখন নারী পুরুষ সম্বলিত দখলদারদের বাধার কারণে তারা জমি উদ্ধার করতে পারেননি। তিনি আরও বলেন বনকর্মী’রা কোন হামলা চালায়নি।


মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কমুার কানু জমি নিয়ে বিরোধ ও মঙ্গলবার জমি উদ্ধার নিয়ে উত্তেজনার কথা জানান। তিনি আরও বলেন শিক্ষক আব্দুল খালিক অভিযোগ করছেন বনকর্মীদের হামলায় একটি মাদ্রাসা ঘর ভাঙ্গচুরসহ ৪ নারী আহত হয়েছেন।


কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ জমি নিয়ে বন বিভাগ ও দখলদারদের মাঝে মামলা চলছে। বন বিভাগ জমির প্রকৃত মালিক দাবি করে দখলদারদের উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছিল। পুলিশ সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করেছে। তবে এ নিয়ে কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি।