আহমেদুজ্জামান আলম, কমলগঞ্জ থেকেঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট।
পশুর হাটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশু প্রচুর পরিমানে বাজারে উঠায় ক্রেতারা খুশি হলে ও দাম নিয়ে হতাশ বিক্রেতারা।
কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বৃহস্পতিবার( ৮আগস্ট) বিকেলে উপজেলার ভানুগাছ বাজারের রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রেতারা সারি সারি গরু সাজিয়ে রেখেছেন।
বিক্রেতারা লাল কালো সাদাসহ বিভিন্ন বর্ণের ছোট-বড় গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া গরুর হাটে তুলেছেন। মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছিল এ পশুর হাটটি। দেখে শুনে মোটাতাজা গরু কিনতে আগ্রহ ক্রেতাদের।
বাজারে আশা ক্রেতা কাজ্বী হারুনুর রশিদ জানান, ‘হাটে কোরবানির পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। তবে দাম নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এখনো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির পশু নিয়ে হাটগুলোতে আসছেন বিক্রেতারা। সকাল থেকেই ক্রেতাসমাগম কিছুটা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। শেষ দিনেও হাট আরো সরগরম হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা বিক্রেতা মোঃদুরুদ উল ইসলাম মানিকের।
তিনি জানান যতই সময় গড়াবে কোরবানির হাটের পশু বিক্রি ততই বাড়বে। ঈদের আগের দুই দিন ক্রেতা উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে ক্রেতারাও চাইছেন, শেষ সময়ে এসে সাধ্যের মধ্যে ভালো পশুটা কিনতে। হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে দাম কম-বেশি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে অভিযোগ-অনুযোগ থাকলেও দাম একেবারে খুব বেশি এমনটা এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ক্রেতার উপস্থিতি কম, তবে যারাই আসছেন তার মধ্যে অনেকেই গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আলাপকালে কয়েকজন ক্রেতা জানান, দাম স্বাভাবিক আছে। তবে পেশাদার গরু ব্যবসায়ীর মতে, শেষ দুই দিনে গরুর সংখ্যাই দাম নির্ধারণ করে দেয়। যত স্বাভাবিক থাকুক না কেন, কোনো কারণে গরুর ঘাটতি হলে দাম লাফিয়ে বাড়বে। আর বেশি গরু থাকলে লোকসান গুনতে হবে বিক্রেতাদের। সর্বোপরি যারাই কোরবানির পশু কিনেছেন দাম নিয়ে তারা মোটামুটি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।