কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পুরাতন ব্রীজের এপ্রোস রোডের সংস্কার কাজে নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
এম এ ওয়াহিদ রুলুঃ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর পুরাতন ব্রীজ নির্মানসহ এপ্রোস সড়কের সংস্কার কাজ চলছে।
কমলগঞ্জ পৌরসভার তত্বাবধানে পরিচালিত ৬ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে পুরাতন ধলাই নদীর ব্রীজ নির্মানসহ এপ্রোস সড়কের সংস্কার কাজে নানা অনিয়মের কারণে প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
ধলাই ব্রীজের এই সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন উপজেলার অসংখ্য হালকা, মাঝারি ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটির দুইপার্শ্বে ৩ ফুট করে সড়ক সম্প্রসারনের জন্য ড্রেইন খুঁড়ে খোয়া ও বালুর পরিবর্তে শুধু মাটি দিয়ে রাস্তার সাইট ভরাটের কাজ চলছে। বিষয়টি তদারকির দ্বায়িত্ব যাদের হাতে তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছেন। যার ফলে ঐ স্থানে ভারী যানবাহন ডেবে গিয়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। রাস্তাটির পুরনো কার্পেট ভেঙ্গে রাস্তা লেভেল না করে আবর্জনা ও ডাষ্ট মিশ্রিত পুরনো পাথরের উপর ইটের খোয়া দিয়ে কার্পেটিং করা হচ্ছে।
টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াহীদুজ্জামান চৌধুরী ২০১৬ সালে কাজ শুরু করে এবং ৩০-০৩-২০১৯ইং তারিখে কাজটি সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল।
এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টায় সরেজমিনে গেলে এ কাজের তদারকিতে এলজিইডির কোন কর্মকর্তাকে মাঠে পাওয়া যায়নি । বিষয়টি নিয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ বেলাল আহমেদকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে মাটি সরিয়ে সেখানে বালু দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু তার সেই নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে মাটি দিয়েই কাজটি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। দায়সারা গোছর নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করায় এই নির্মান কাজের কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তাটিতে আবার খানা খন্দের সৃষ্টি হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। তাছাড়া ধলাই নদীর পুরাতন ব্রিজের দক্ষিন পাশে দুই-একটি টিন সেডের ঘর না ভাঙ্গার কারনে বড় ধরনের দূর্ঘটনার কারন রয়েছে। তাই বিষয়টির প্রতি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই কাজটি পৌরসভার তত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। পৌরসভা চাইলে আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট দেই।