কমলগঞ্জে বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুর ঃ আহত-৪

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌরসভার নছতপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঞ্জু মিয়া (২৮) নামের এক টিবওয়েল মিস্ত্রীর বসত ঘরে হামলা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টায় কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতির নেতৃত্বে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় নারীসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মঞ্জু অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শাহজাহান মিয়া নামে এক হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক শাহজাহান উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিএনজি যোগে নছরতপুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুলের আত্মীয়। সিএনজি গাড়িটি নছতপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে টিওবয়েল মিস্ত্রী মঞ্জুর বসত ঘরের পাশ দিয়ে যাবার সময় তার ৪ বছরের শিশু হাবিবকে আঘাত করে। এ নিয়ে সিএনজি চালকের সাথে মঞ্জুর কথা কাটাকাটি নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগ সভাপতির আত্মীয়ও। বাকবিতন্ডা আর গালাগালিতে মঞ্জুর উপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। এই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত ১টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল, তার ভাই কমলগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক শাহ নেওয়াজ রাসেল, চাচাতো ভাই সজীব, তুহিন, তারেক, তোয়েল ও চাচা যুবলীগ নেতা শাহজাহান মিয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মঞ্জুর বসত ঘরে হামলা করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা মঞ্জুর মাথাসহ শরীরে কুপিয়ে রক্তাত্ব জখম করা হয়। ভাংচুর করা হয় বসত ঘরের আসবাবপত্র। হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি মঞ্জুর প্রতিবন্ধী ভাই মঈন মিয়া,অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শিল্পী বেগম,মা ছয়ফুল বেগম। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুত্বর আহত মঞ্জুকে রাতেই মৌলভীবাজার সদর হসপাতালে রেফার্ড করা হয়। শনিবার সকালে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল থেকে তাকে আশংকাজন অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়।

কমলগঞ্জ থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। শনিবার দুপুরে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ নেতা শাহজাহান মিয়াকে আটক করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল বলেন, বিকালে নিকট আত্মীয়কে নাজেহাল ও তাকে বহনকারী সিএনজি চালককে মারধরের কারণ জানতে গেলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলেও ভাংচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।