কমলগঞ্জে বালু উত্তোলন ও পাহাড় টিলা কাটা বন্ধের কোন উদ্যোগ নেই

প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: কমলগঞ্জে সর্বোচ্চ সতর্কতার পরও বন্ধ করা যায়নি পাহাড় টিলা কাটা। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও টিলা কাটা হচ্ছে। জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গাসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড় ও টিলা রয়েছে। এসব টিলা ও পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছে পাহাড়খেকোরা।

টিলা ও পাহাড়ের মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে এলাকার ফসলি জমি। একদিকে কমলগঞ্জে যেমন হারাচ্ছে সৌন্দর্য তেমনি দিন দিন কমছে কৃষি জমি। পাহাড় ছাড়াও চলছে বালি নিধন,অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা হয়ে গছে বেপরোয়া। আলীনগর ইউনিয়নের কামারছড়ার জাঙ্গালিয়া এলাকায় ছড়ার গাঁ ঘেঁষে চায়ের টিলা কেটে, টিলার নিচ থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে বালু উত্তোলনকারীরা । ছড়ার দুপাশের পাহাড় কেটে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। শমসেরনগর ধামালিছড়ায় চা বাগানের ভেতের মেশিন লাগিয়ে চা বাগানের রাস্তার ভেতর দিয়েই বালু পরিবহন করা হচ্ছে এ ছাড়া লাউয়াছড়ার,, লংগুছড়া থেকেও চলছে বালু উত্তোলন।

সচেতন মহলের দাবী আইনের প্রয়োগ না থাকার কারণেই বছরের পর বছর এভাবে বালু ও পাহাড় টিলা কেটে প্রকৃতির সৌন্দর্য ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে পাহাড় খেকোরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, পাহাড় টিলাকাটা অপরাধের সাথে স্থানীয় কিছু অসাধু নেতৃবৃন্দ জড়িত রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের কালেঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন চৌধুরী তার বাড়ীর পাশে টিলা কাটছেন যা পাশের রাস্তায় যাতায়াত ব্যবস্থা হুমকিতে ফেলেছেন। স্থানীয়রা জানান, যে ভাবে মাটি কাটা হয়েছে মানুষ চলাচলের রাস্তাটি হুমকিতে রয়েছে। মাটি কাটার ফলে বর্ষাকালে এই রাস্তার মাটি ধ্বসে পরার আশংকা রয়েছে। অপর দিকে কালেঙ্গা বাজার থেকে একটু পশ্চিমে রফিক মিয়ার দোকানের কাছে বিরাট আকারে বস্তা দিয়ে পর্দা টানিয়ে মাটি কাটছেন জাহাঙ্গীর নামক এক লোক। এ ব্যাপারে নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন রাস্তার কোন ক্ষতি হবে না আমি গাছের বললি দিয়ে রাস্তার মাটি আটকানোর ব্যবস্থা করবো।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমি এ বিষয় অবগত হয়েছি অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।