স্টাফ রিপোর্ট: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাজকান্দি বন রেঞ্জের আওতাধীন কামারছড়া বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারী রাস্তা সংস্কারে বাধা, চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর হুমকি ও অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সরজমিন খোঁজ নিয়ে ও ভুক্তভোগী আদমপুর ইউনিয়নের ছনগাঁও,সাংগাইসাবী এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে জানা যায়, কামারছড়া বনবিটের বিট কর্মকর্তা মীর মোঃ বজলুর রহমান যোগদান করার পর থেকে নানাভাবে নিরীহ ভিলেজারদের হয়রানী করে আসছেন। তিনি ৬/৭ মাস পূর্বে পল্লী বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের সময় প্রত্যেক গ্রাহকের নিকট থেকে ৫০০/১০০০ টাকা করে প্রায় একত্রিশ হাজার টাকা জোর পূর্ব্বক চাঁদা আদায় করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউপি সদস্য কে,মনীন্দ্র সিংহ ছনগাঁও থেকে সাংগাইসাবী যাতায়াতের রাস্তাটি মাটি ভরাট ও সংস্কার করতে গেলে তিনি শ্রমিকদের বাধা প্রদান করেন। এমনকি বিভিন্ন মাধ্যমে উক্ত ইউপি সদস্যের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন অন্যথায় কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি ও দেন বলে জানান অভিযোগকারী কুতুব উদ্দিন,ছমেদ মিয়া, সুন্দর আলী,হামজা মিয়া প্রমূখ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী অনেকেই বলেন তার এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বন মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দেন এবং রূঢ় অশালীন আচরণ করেন। আদমপুর ইউপি সদস্য কে, মনীন্দ্র সিংহ বিট অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক জানান, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন, তদন্তসাপেক্ষ বিহীত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। তবে চাঁদাবাজীর অভিযোগ অস্বীকার করে কামারছড়া বিট কর্মকর্তা মীর মোঃ বজলুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, বন বিভাগের জমিতে বন বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষ রাস্তা নির্মাণ বা পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা তিনি বলেছিলেন। ইউপি সদস্যসহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের উপর মিথ্যা মামলা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন কেউ তো আর আইনের উর্ধ্বে নয়।