কমলগঞ্জে ভবন সংকটে করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
ছবি ধলাইর ডাক

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ পৌরসভার (১২০) নং করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্রেণীকক্ষ ও আসবাবপত্র না থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

১৯৯৯ সালে ৩৩ শতক জায়গায় মাত্র ৩টি ক্লাসরুম নিয়ে স্থাপিত হয় এ বিদ্যালয়টি। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি এটি জাতীয়করণ করা হয়। ৩টি রুমে ছাত্র-ছাত্রী বসার জন্য মাত্র ২৫ জোড়া ব্রেঞ্চ আছে।স্কুলের পর্যাপ্ত আসন না থাকার কারনে বারান্দায় কাপড় টাঙ্গিয়ে চলে শিশু শ্রেণির ক্লাস। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ভবনটি সংস্কারের অভাবে জনাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের কক্ষ সংকট থাকায় শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের শৌচাগারটি এক ধরনের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্য প্রবাহের যুগেও বিদ্যালয়ে কোন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার পৌঁছায়নি। নাই আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কোন শিক্ষক। স্কুলটি জেলা সড়কের নিকটবর্তী হওয়ার পরও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় স্কুলের সীমানা সংরক্ষণের জন্য কোন প্রাচীন দেয়াল এখনো নির্মাণ করা হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা রয়েছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। ভবনটিও এক ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভবনের ছাদ ও ভীমের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল রেখা দেখা দিয়েছে। স্কুলের সামনের খেলাধুলার মাটিও অনেক নিচু। ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলার পর্যাপ্ত জায়গা নেই বললেই চলে। নির্মাণাধীন শহীদ মিনার আংশিক বিদ্যমান থাকতে দেখা গেছে। বিদ্যালয়ের কোন অফিস রুম না থাকায় পরিকল্পনামাফিক ভবনটি কোন এক সময় দুতালা করা হবে প্রকৌশলীদের এমন সিদ্ধান্তে রাখা দোতালায় ওঠার সিঁড়ি রুমে স্কুলের অফিস রুম হিসেবে ব্যবহার ও প্রয়োাজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করতে গিয়ে বিগ্ন ঘটছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবাংশু রঞ্জন পাল এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে জানান, বিগত ৫বছরে যাবৎ সমাপনী পরীক্ষায় বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ অর্জনসহ একাধিক বৃত্তিতে পেয়ে আসছে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। ধর্মীয় শিক্ষক সহ ৫জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন বিদ্যালয়টিতে।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, পাঠদানের কক্ষ সংকট থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কক্ষে গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম তালুকদার বলেন ,ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামতের জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং নতুন ভবন নির্মাণের ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান। তিনি আরো জানান ,যে সকল স্কুলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নেই সে সমস্ত স্কুলের তালিকা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে আশা করছি খুব শ্রীঘই স্কুলে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার পৌঁছে যাবে।