ধলাই ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মেহেদীর রং শুকানোর আগের বিয়ের ৬ দিনের মাথায় নববধূর আত্মহত্যা করেন। তবে স্থানীয়রা আত্মহত্যা রহস্যজনক বলে মনে করেন। উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের রুনা বেগমের বিয়ে হয়েছিল একই ইউনিয়নের নঈনারপার গ্রামের আজির মিয়ার ছেলে দিন মজুর শরিফ মিয়ার সাথে। বিয়ের ৬ দিনের মাথায় নববধু গত বুধবার রাত ১০টায় নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, নববধূ রুনার পেটের ব্যথার কারণে বুধবার দিনে মৌলভীবাজার জেলা সদরে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে আল্ট্রাসোনগ্রাম করে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেন। রুনার মা তাকে ডাক্তার দেখিয়ে স্বামীর বাড়ি রেখে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। এ দিকে স্বামী শরিফ মিয়াও বাড়ি থেকে বাজারে চলে যান। রাত ১০ টায় তার শ্বাশুড়ি গিয়ে দেখেন নববধূর ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পরও সে দরজা না খোলায় পিছনের বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান সে গলায় ফাঁস দিয়ে বৈদ্যুতিক পাখার সাথে ঝুলে রয়েছে। বিষয়টি কমলগঞ্জ থানাকে অবহিত করলে থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে নববধূর লাশ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, এই ৬দিন আগে বিয়ে হল রুনার,মেয়েটাও কত ভালো ছিল। এভাবে রুনার মৃত্যু হবে আমরা মেনে নিতে পারছি না। এটা সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে তারা দাবি জানান।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে লাশটি তার পরিজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।