কমলগঞ্জে শশ্মানঘাটের জায়গা অবৈধ দখল জেলা প্রশাসকের কাছে গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লিখিত অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৯
ছবি ধলাইর ডাক

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে শশ্মানঘাটের জায়গা অবৈধভাবে দখল করেছেন বলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিতভাবে এই অভিযোগ জানানো হয়েছে।

গত ১৭ অক্টোবর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।

হিন্দু সম্প্রদায়ের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শমশেরনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে বংশ পরস্পরায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন। গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের কাহারো মৃত্যু হলে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে সার্বজনীন শশ্মানঘাটে শেষকৃত্য সম্পাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। কখনো কাহারো কোন আপত্তি বা ভূমি দখলের ঘটনা ঘটেনি। গ্রামের দক্ষিণে পতিত সংলগ্ন জোড়াপুকুর নিয়ে শশ্মানঘাটের উত্তরপার সংলগ্ন পতিত পাল সম্প্রদায়ের শশ্মানঘাট, বাঁশঝাড় ও পূর্ব দক্ষিণ পার সংলগ্ন পতিত নাথ সম্প্রদায়ের সমাধিক্ষেত্র। পুকুরদুটি উভয় সম্প্রদায়ের শেষকৃত্য সম্পাদনের স্লানঘাট হিসাবে আবহমান কাল থেকে শশ্মানঘাটটি জোড়াপুকুর নামে পরিচিত। তবে সম্প্রতি সময়ে সারঙ্গপুর গ্রামের আলতা মিয়ার পুত্র বিলাল মিয়া অবৈধভাবে শশ্মানঘাট ও পুকুর দখল করে বাঁশ, গবাদি পশুর জন্য ঘাস কেটে নিচ্ছেন। পুকুরে বেড়া দিয়ে মাছের চাষাবাদ করছেন। কেহ আপত্তি জানালে গালিগালাজ করে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন।

শিক্ষক বিমলেন্দু পাল, যশেন্দু দেবনাথ, পঙ্কজ চন্দ্র পাল, রিপন দেবনাথ, রুপেন্দ্র দেবনাথ, অনন্ত চন্দ্র পাল, প্রণয় পাল অভিযোগ করে বলেন, বিল্লাল মিয়া অবৈধভাবে শশ্মানের ভূমি দখল করে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন এখানে কেহ মরা পুড়াতে পারবেন না বলে । তিনি দখল করার পর সবসময় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সেখানে অবস্থান করেন।

বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করা হয়েছে। তবে শশ্মানঘাট রক্ষায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও পুকুর দুটি সংস্কার করে হিন্দু সম্প্রদায়ের শেষ ঠিকানা হিসাবে শশ্মানঘাটের জায়গা উদ্ধার করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানিয়েছি।

তবে অভিযোগ বিষয়ে বিলাল মিয়া বলেন, পুকুরের ভূমিটুকু আমার কাগজপত্রে রেকর্ডভূক্ত। ৫৬’র রেকর্ড অনুযায়ী আমি মালিক বিদ্যমান। অভিযোগকারীরা তাদের স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখিয়ে প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করতে পারলে তাদের জমি ফেরত দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন এর মোবাইল ফোনে কথা বলা সম্ভব হয়নি।