কমলগঞ্জে সংবাদ প্রকাশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি: এলাকায় চাপা ক্ষোভ

প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০২০
ফাইল ছবি

স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখোলা চা বাগানের এক বৃদ্ধার সংবাদ প্রকাশ কে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংবাদ প্রকাশের পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোপ প্রকাশ করছেন। জানা যায়, গত ৯মে কমলগঞ্জের এক প্রবীণ সাংবাদিক তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে “ কর্তৃপক্ষ নজর দিন- কমলা বেগম নামের এক মহিলা চা শ্রমিক গত দুদিন ধরে পড়ে আছেন পাত্রখোলা চা বাগানের স্কুলের বারান্দায়” ছবিসহকারে একটি স্ট্যাট্যাস দেন। এর পর থেকে কয়েকজন সংবাদকর্মী বিষয়টিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করতে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করেন। তারা সংবাদে উল্লেখ করে ‘কমলা বেগম মুসলিম চা শ্রমিক বলে ঘর পান নি, উনার কেউ খবর রাখে নি’ এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ও তুলে ধরেন । এ ধরণের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশের পর থেকে এলাকায় কানাঘোষা শুরু হয়।

এলাকাবাসীদের মধ্যে প্রকাশ পায় চাপা ক্ষোপ। পাত্রখোলা চা বাগান মসজিদের ইমাম আব্দূল আজিজ এবং চা- বাগান মন্দিরের পুরোহিত রাজেস শর্মা চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সম্পাদক কমল কোরাইয়া চা যুব পরিষদের সভাপতি প্রদিপ পাল সাধারণ সম্পাদক অমল গড় চা বাগান কর্মচারী গোলম মৌলা ,সুনিল গোয়ালা চা বাগান সর্দার ফারুক আহমেদসহ এলাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চা শ্রমিক কমলা বেগম ও তার ছেলে সিদ্দেক মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি চা বাগান প্লান্টেশন এলাকায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে চা বাগানে কাজ না করলেও চা বাগান এলাকায় থাকার জন্য নতুণ লাইন এলাকায় জমি ও ঘর রয়েছে। তবে সে আর তার ছেলে ২ জনে মিলে বাগানের চা শ্রমিক গৌড়া গোয়ালার নিকট বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে তাকে আবারো জায়গা দেয়া হলে ও সেখানে না থেকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায়। তারা আরো বলেন, কমলগঞ্জের পাত্রখলা চা বাগান অসাম্প্রদায়িকতার এক নির্দশন। সিলেট বিভাগে একমাত্র এ চা বাগানেই ৩ ধর্মের মানুষের সমাধিস্থল একমাঠে। সাধারণ চা বাগানে ধর্মের বিবেচনা করা হয় না। সকল ধর্মের চা শ্রমিকরা একসাথে কাজ করেন। একটি কুচক্রি মহল বাগান এবং বাগানে বসবাসকারীদের মধ্যে দাঙ্গা সৃষ্টির উদ্দ্যেশে অপতৎপরতা চালায়। আমরা এরকম ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কমলা বেগমের ভাই আবু কাশেম ও আবু কামাল এর সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমার বোন কমলা বেগম ও তার ছেলে সিদ্দেক মিয়া দুষ্ট প্রকৃতির লোক। বাগান ব্যবস্থাপক তাকে প্রায় ৬/৭ বছর যাবৎ বসিয়ে বসিয়ে বেতন ভাতাসহ কোম্পানীর সকল সুযোগ সুবিদা দিয়ে আসছে। তারপরও মানুষের কথা শুনে। কয়েক দিন আগেও বাগানের এক টিল্লা ক্লার্কের বাসায় ঢিল ছুড়ে, এর কিছুদিন আগেও সে চা বাগানের সহকারী ব্যবস্হাপকের উপর হামলা চালাতে উদ্ধত হয়েছিলো। পরে লোকজন তাকে সরিয়ে আনে। আমার বোন একজন মানষিক ভারসাম্যহীন, কখন কি করে বসে, নিজে বুজেনা কারো কথাও শুনেনা।