ষ্টাফ রিপোটারঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ও স্ত্রীর প্রেমিকের হুমকি সইতে
না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মামুন মিয়া নামের এক যুবক। গুরুতর
অসুস্থ হয়ে প্রথমে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বাড়ীতে ফিরেছেন মামুন মিয়া । এ ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক
২ সন্তানের জনক ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর কোনাগাঁও গ্রামের চান্দু মিয়ার পুত্র
শিবুল মিয়া (৩২) ও আলিনগর ইউনিয়নের রামেশ্বর পুর গ্রামের তাহির মিয়ার মেয়ে স্ত্রী
লুৎফা বেগম (২৫) কে আসামী করে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় কমলগঞ্জ থানায় লিখিত
অভিযোগ করেছেন ভুক্ত ভোগীর পিতা মজমিল মিয়া। এলাকাবাসী ইদ্রিস মিয়া,সফির
আহমেদ,কালা মিয়া জানায়, দীর্ঘ ৫ বছর আগে শ্রীপুর কোণাগাঁও গ্রামের মজমিল
আলীর ছেলে রাজমিস্ত্রী মামুন মিয়ার সঙ্গে পাশের আলিনগর ইউনিয়নের রামেশ্বর পুর
গ্রামের তাহির মিয়ার মেয়ে লুৎফা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সাংসারিক জীবনে ৩
বছরের ১ মেয়ে রয়েছে। ভালোই কাটছিল তাদের পারিবারিক জীবন। কিন্তু ৭/৮ মাস আগ
থেকে পাশের বাড়ীর রাজমিস্ত্রী হেলপার ২ সন্তানের জনক চান্দু মিয়ার পুত্র শিবুল মিয়া
সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন লুৎফা বেগম । দিন দিন প্রেমিক শিবুল ও লুৎফা বেপরোয়া
হয়ে উঠে। পরকীয়ার টানে অন্ধ হয়ে পড়ে লুৎফা,স্বামী সন্তান আর সংসারের কথা ভুলে
গিয়ে প্রেমিকের সাথে শুরু করে অসামাজিক কর্মকা-। এতে ধরাও পড়ে বেশ কয়েকবার
শশুড়-শাশুড়ী, দেবর অতঃপর স্বামীর হাতে । প্রেমের ঘুরে এমনি মসগুল হয় শিবুল-লুৎফা জুটি
কেউ তাদের এই অসামাজিক কর্মকা- দেখলেও যেন কিছু যায় আসেনা। তাদের
অসামাজিক কর্মকা- দেখে গাল মন্দ করাটা হলো মামুনের কাল। তাই স্ত্রীর বেফাস কথা
বার্তা আর প্রেমিক শিবুলের দেখে নেয়ার হুমকিতে ভেঙ্গে পড়ে মামুন, তাই সে
আতœহত্যার পথ বেঁচে নেয়। গুরুতর অসুস্থ মামুন জানায়, বউকে অনেক ভালোবাসতাম
আমাদের ১ কন্যা শিশু আছে। আমি আমার বউ সন্তানকে সুখে রাখতে কিনা করেছি, আর
বউ আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পরপুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। স্ত্রীর
পরকীয়ার সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে তাই ভাবলাম এ জীবন রেখে আর লাভ নেই সেজন্য
আতœহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছি। পরিবারের অন্য সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে দ্রুত
বুধবার কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে
স্থানান্তর করেন। মামুনের পিতা মজমিল আলী বলেন,ছেলেকে খুব শখ করিয়ে ৫ বছর আগে
বিয়ে করিয়েছি। ৪ বছর সুন্দরভাবে সংসার করলেও বিগত কয়েক মাস থেকে পাশের বাড়ির
চান্দু মিয়ার লম্পট ছেলে শিবুলের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। আমার ও আমার ছেলের
সাজানো সংসার এখন তছনছ করে দিয়েছে। শিবুল আগেও এলাকার আরো ৪/৫ টি
মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। তার সাথেই আমার পুত্র পরকীয়ায় লিপ্ত হলে, তাকে বার বার
বুঝিয়ে ব্যর্থ হয়ে মেয়ের বাবাকে বিষয়টি জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। উপরন্ত সে আরো
বেপরোয়া উঠলে স্থানীয়ভাবেও বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক করায় আজ আমার ছেলেকে
মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমার ছেলের এই অবস্থার জন্য শিবুল ও লুৎফাই দায়ি। আমি
তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। এ ব্যাপারে মামুনের শশুড় তাহির মিয়া বলেন,তাদের পারিবারিক
দন্ধের কারনে মামুন বিষ খেয়েছে,এতে আমার মেয়ের কোন দোষ নাই। অভিযুক্ত প্রেমিক
শিবুল মিয়া বলেন, আমাদের পরিবারের সাথে জমি নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ রয়েছে

,তাই আমাদের পরিবারকে গাঁয়েল করার জন্য কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করেছে। যা
সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী মামুন
গুরুতর অসুস্থ শুনেছি। বৃহস্পতিবার বিকালে মামুনের পিতা মজমিল আলী বাদী হয়ে
পুত্রবধু লুৎফা বেগম ও তার প্রেমিক শিবুল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ
করেছেন। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্ধসঢ়;হা গ্রহণ করা হবে বলে জানান
তিনি।