
স্টাফ রিপোর্টার: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রবিবার বিকালে শিলা বৃষ্টি আর প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। ঝড়ের তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক কাঁচা-আধাকাঁচা বাড়িঘর ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গেছে ও তার ছিঁড়ে গেছে।
জানা যায়, ২৮ এপ্রিল (রবিবার) বিকাল সাড়ে ৪টায় মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়ে আদমপুর, মাধবপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং ২০/৩০টি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরসহ শতাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিঁড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।

জানা যায়, ঝড়ে আদমপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের নুরুজ্জানের, আদমপুর বাজারে মামুন মিয়া, উত্তরভাগ গ্রামের তারেক মিয়া, জালালপুর গ্রামের বাবুল মিয়া, শ্রীপুর গ্রামের পঙ্গু সালামের রাইস মিল ঘর সহ আদখানি, মধ্যভাগ, কেয়ালিঘাট, তেতইগাঁও, হখতিয়ারখোলা গ্রামের শতাধিক কাঁচাও অধাকাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আদখানি এলাকার বদরুনাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীর গাছ পড়ে ধসে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ও বাড়ির গাছপালা উপড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া নইনারপাড়ে ৩টি বিদ্যূতের খুঁটি উপড়ে পড়ে।

এদিকে, একই সময়ের ঝড়ে মাধবপুর ইউনিয়নের পারুয়াবিল গ্রামের কাসেম মিয়া, ইসলামাবাদ গ্রামের শমীম মিয়া, মাধবপুর বাজারের আব্দুল মালিক, ইমানী মিয়া, হোসেন মিয়া, শাওন আহমেদ, রামবাবু সিং, নন্দকুমার সিংহের দোকান ঘর, গকুল সিংহের গাঁও“সুধীর দাস ও বাবুল দাস, পাত্রখলা চা বাগানে জাহাঙ্গির, মাধবপুর চা বাগানে পলাশ এছাড়া জাকির হোসেন, সুমিদ সিংহ, মুজিব মিয়া, ছায়ারুন বেগম, ও জাহানার বেগমের ঘর সহ নোয়াগাঁও, ছয়চিড়ি, ও মাধবপুর চা বাগান এলাকায় গাছপালা, ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এখানে প্রায় শতাধিক কাঁচা ও আধা কাঁচা ঘর-বাড়ী বিধবস্ত হয়েছে। ৪টি বিদ্যূতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে। একাধিক স্থানে গাছ ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের তার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ইসলামপুর ইউনিয়নের গোলের হাওর, মোকাবিল, কুরমাসহ প্রায় ১০টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আছাদুজ্জামান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা সমুহ পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সমুহে ১০ কেজি করে চাল বিতরন করেন এবং দ্রুত সময়ে তাদেরকে সহোযোগিতা করা হবে আশ্বাস দেন।